ওসমানীনগরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলামকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় একই প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের প্রভাষক লুৎফুর রহমান আদালতে হত্যাকাণ্ডের দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত প্রভাষক লুৎফুর রহমান ওরফে আজাদ (৪৪) দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের তাহির আলীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এস আই মো. মমিনুল ইসলাম পিপিএম বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলেখা দের আদালতে লুৎফুর রহমানকে হাজির করা হলে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় তিনি স্বেচ্ছায় নিজ আপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’
প্রসঙ্গত, গত১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম মোটরসাইকেল যোগে মাদরাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বুরুঙ্গা সড়কের মুখ এলাকায় পৌঁছলে একটি দ্রুতগতির প্রাইভেট কার অধ্যক্ষকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে একই মাদরাসার প্রভাষক লুৎফুর রহমান পরিকল্পিতভাবে গাড়িচাপা দিয়ে অধ্যক্ষকে হত্যা করে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় নিহত অধ্যক্ষের স্ত্রী দিলবাহার তালুকদার লিপি বাদী হয়ে একই মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক লুৎফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ওসমানীনগর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং-১৩)। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত লুৎফুর রহমান পলাতক ছিলেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সিলেটের গোটাঠিকর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।