দ্বাদশ শ্রেণিতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর ভর্তি ও অন্যান্য ফি বাবদ ২ হাজার ৭৬৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে আর সি কলেজে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। অতিরিক্ত ফি আদায় করায় মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট রসিক চন্দ্র কলেজের (আর সি কলেজ) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা স্থানীয় সাংসদের কাছে অভিযোগও করেছে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কলেজটিতে কোনো গাড়ি নেই; তবুও ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়াও উন্নয়ন তহবিলে ২০০ টাকা, অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী খাতে ৫০০ টাকা, জাতীয় দিবসের ১৫০ টাকা, বিবিধ ২০০ টাকা, মেরামত ২০০ টাকা, মসজিদ/মন্দির ৫০ টাকা এবং স্কাউট ফি বাবদ ১০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এভাবেই বিভিন্ন খাত দেখিয়ে ২ হাজার ৭৬০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ টাকা রুপালী ব্যাংকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এভাবে অতিরিক্ত ফি দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীদের অসহায় অভিভাবকরা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় এমপি পংকজ দেব নাথের কাছে অভিযোগ করার কথা জানিয়েছে। দৈনিক শিক্ষার সঙ্গে কথা হয় মানবিক বিভাগের জিসান, তারেক, মশিউর রহমান, জুবায়ের হোসেন, মুজাহিদ ও ব্যাবসায় শিক্ষার জিদানের সাথে।
তাদের অভিযোগ, কোনো কলেজ এত টাকা নিচ্ছে না; কিন্তু আর সি কলেজে কেন ২ হাজার ৭৬৫ টাকা ধার্য করা হলো। এ শিক্ষার্থীরা আরও জানান, “উলানিয়া মুজাফ্ফর খান ডিগ্রি কলেজ নিচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা, পাতারহাট মহিলা কলেজ নিচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা। শুধুমাত্র আর সি কলেজ সরকারি করায় কি আমাদের কাছ থেকে এত টাকা নিচ্ছে?”
মেহেন্দিগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল বেপারী দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘কলেজটির শিক্ষার্থীরা আমাদের এমপি মহোদয়ের নিকট অভিযোগ করেছে। এমপি তাৎক্ষণিক ফোনে যোগাযোগ করে ছাত্র-ছাত্রীদের ফি কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মাহবুবুল হক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘আমরা এ বছর যে নিয়ম চালু করেছি, তাতে একজন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল পরীক্ষার সময় পরীক্ষার ফি ছাড়া আর কোনো টাকা পে করতে হবে না। সেক্ষেত্রে আমরা বেশি টাকা নিচ্ছি না।’