দেশে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার সকল সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে সব সময় গুরুত্ব দেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
শনিবার রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার প্লেসমেন্ট সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ফেয়ার-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। ভবিষ্যত নেতৃত্বকে সঠিক শিক্ষা দিতে না পারলে দেশ প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোবে না। এজন্য জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বাধিক বরাদ্দ দেয়া হয়।
বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে রূপান্তরিত হয়েছে। আমাদের উন্নয়নে জাপানের সম্পদ কাজে লাগাতে চাই। একই সঙ্গে আমাদের সম্পদ জাপানসহ বিশ্বের সকল দেশে পৌঁছে দিতে চাই। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু রাষ্ট্র। শিক্ষাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখায় জাপান সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য একজন ব্যক্তিও যেন এ দেশে বেকার না থাকে। ক্ষমতাসীন সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে। নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অন্ধকারে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের জন্য অবদান রাখতেই নারীদের সামনে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে সরকার।
কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বিক্রি করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মানহীন শিক্ষা আমরা প্রত্যাশা করি না। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য সকল সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার প্রস্তুত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য ভাবতে হবে বলে। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যেখানে দারিদ্র্য থাকবে না, বৈষম্য থাকবে না। কোন মানুষ সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। আমাদের প্রয়োজন সততা আন্তরিকতা ও একাগ্রতা।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবীর, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদ এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেম।