হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও আল-হাইয়্যাতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়াহ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, তাকওয়াবান, দেশপ্রেমিক আদর্শ জনগোষ্ঠী তৈরিতে কওমি মাদরাসার ঐতিহাসিক শিক্ষাধারার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ পবিত্র শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অনুধাবন করেই সরকার কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে এমএ’র সমমর্যাদা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে।
কক্সবাজারের কলাতলী লাইট হাউস দারুল উলুম মাদরাসায় শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ইসলাহি মজলিশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও ১৫ নভেম্বর কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শনপূর্বক হেদায়তি বক্তব্যেও তিনি একই কথা বলেন।
বিশ্ব বরেণ্য আধ্যাত্মিক মুরুব্বী, জামেয়া আহলিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরো বলেন, কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি কারো করুণা নয়, এটি বৃহত্তর কওমি জনগোষ্ঠির ন্যায্য অধিকার। আমার সঙ্গে কৃত ওয়াদা মোতাবেক দারুল উলুম দেওবন্দের মৌলনীতি অক্ষুণ্ন রেখেই সরকার কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে। এ জন্য আমি সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আমার বয়স এখন প্রায় একশ বছর। সনদের এই স্বীকৃতি নিয়ে আমি ও আমার পরিবার ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবে না। আমি কেবল আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্যই সনদের স্বীকৃতি আদায়ের প্রয়াস চালিয়েছি। ফলশ্রুতিতে এ সনদ নিয়ে কওমি আলেমরা দেশ বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে অনন্য অবদান রাখার সুযোগ পাবেন।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী দু’দিনের সফরে ১৫ নভেম্বর কক্সবাজার আসেন। কক্সবাজার জেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিবের নেতৃত্বে ওলামায়ে কেরাম বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
দু’দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শনকালে তার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন জামেয়া আহলিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস মাওলানা শেখ আহমদ, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম সাদেক, জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা আবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম, মাওলানা হাফেজ আব্দুল হক, মাওলানা মোহছেন শরীফ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিকদার, মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, মাওলানা আমিনুল হক, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা কেফায়ত উল্লাহ, মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক, মাওলানা এহতেশামুল হক, মাওলানা হাস্সান দিদার, মাওলানা খালেদ সাইফী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর প্রমুখ।