রাজশাহীতে চুরির অপবাদে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারুফ আলী (১৩) নামের এক মাদরাসাছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট এলাকার রাজারামপুরে এই ঘটনা ঘটে। স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ তুলে রোববার (২২ মার্চ) বিকেলে ৪টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত এমন নির্যাতন চালায় জিয়ারুল ও রমেল আলীসহ চারজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজারামপুর পাকড়ী ইউনিয়নের মেম্বার জালাল উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘চুরির অভিযোগে সন্দেহমূলক মারুফকে ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। রডের আঘাত ও গরম পানি ঢালা হয়েছে। এ নিয়ে স্থায়ীন কাকঁন হাট (তদন্ত কেন্দ্র) ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিদর্শন করে গেছে। এছাড়া ভক্তভোগীর পরিবার গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
জানা গেছে, আহত মারুফকে পরে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। মারুফ ওই এলাকার গোলাম মুর্তুজার ছেলে। এছাড়া রাজারামপুর চাপড়া দারুল হাদিস আলীম মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার পরে গোদাগাড়ী থানায় রমেল আলী, পিয়ারুল ইসলাম, সিহাব আলী ও তোফায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে আহত মাদরাসাছাত্র মারুফের বাবা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনকারী রমেল আলীর স্ত্রী চুমকি খাতুনের আংটি ও ঝুমকা মিলে চার আনার স্বর্ণের জিনিস হারিয়েছে। এর সন্দেহে মারুফকে মারধর করে তারা। মারধরের সময় লোহার রঢ, গরম পানি, বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়। এক পর্যায়ে মারুফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তারা ছেড়ে দেয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘তারা আমার কাছে এসেছিল। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের অভিযোগ শুনে থানার ওসিকে (গোদাগাড়ী থানা) জানানো হয়। এছাড়া চিকিৎসা নিতেও বলা হয়। বিষয়টি থানার ওসি দেখছেন।‘
গোদাগাড়ীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’