গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বদলির তদবির করতে গিয়ে ধরা খাওয়া শহিদুল ইসলামকে (৪৮) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (১০ আগস্ট) তাকে গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। ওই প্রতারকের নাম শাহিদুল ইসলাম। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে র্যাব-১২ থেকে অবসরে যান তিনি।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৬ জুন বেলা ১১টায় মিরপুর মডেল থানার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) অফিস কক্ষে প্রবেশ করে শাহিদুল ইসলাম নিজেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক পরিচয় দেন। পরিচালককে একজনের বদলির তদবির করতে চিরকুট দেন। পরিচালক (প্রশাসন) তাকে বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চলছে এবং চলবে বলে জানান। এরপর বিভিন্ন সময় শাহিনুল তাকে ফোন করে বদলির বিষয়ে জোরাজুরি করেন। সেই সময় পরিচালক (প্রশাসন) তাকে সীমা লঙ্ঘন করতে নিষেধ করেন এবং অফিসিয়াল বিষয়ে অযাচিত ফোন না করার জন্য বলেন।
শহিদুল ইসলাম সোমবার ফের শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) অফিস কক্ষে প্রবেশ করে পুনরায় নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক পরিচয় দেন। তখন পরিচালক (প্রশাসন) তাকে ওই গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তিনি তা দেখাতে না পারায় সন্দেহ হয়।
এরপর পরিচালক (প্রশাসন) খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শহিদুল ইসলাম নামের কোনো ব্যক্তি পরিচয় দানকারী গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক পদে নেই। এরপর মিরপুর মডেল থানায় বিষয়টি জানানো হলে টহল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শহিনুলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি মোবাইল ফোন, বদলি সংক্রান্ত আবেদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।