বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মোল্লা মুজিবুর রহমান দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাত্, বিধি মোতাবেক কমিটি গঠন না করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে হয়রানিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অনিয়ম দুর্নীতির বিচার চেয়ে ও তাকে দ্রুত অপসারণের দাবি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সচিব, মহাপরিচালক, বরিশালের জেলা প্রশাসক ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে গৌরনদীর হোসনাবাদ গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক মোল্লা মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি ২০০৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ২০১৩ সালে ওই মাদ্রাসার সুপার হিসেবে যোগদান করেন মাওলানা মোঃ ইউসুফ আলী। যোগদানের পর থেকে তিনি নিয়োগ বাণিজ্য, উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাত্, জাল-জালিয়াতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী হয়রানিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির আট সদস্য এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ পাওয়ার পর গত ৩১ জানুয়ারি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ মজিবুর রহমান বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে গৌরনদী উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাম তদন্ত করে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পান। গত ১০ এপ্রিল সুপার ইউসুফ আলী তার অপরাধ স্বীকার করে মত্স্য কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চান। উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাম জানান, গত ২৬ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার মোঃ ইউসুফ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমি মত্স্য কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন জানান, জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদনটি পেশ করা হবে।
সূত্র: ইত্তেফাক