বগুড়ার নন্দীগ্রামে কলেজের গ্রন্থাগার হতে বই বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক রাজু আহমেদ গত সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত প্রত্যেকটি বইয়ের হিসাব স্টক রেজিস্ট্রারে সংরক্ষিত ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি থাকাকালে কলেজ গ্রন্থাগারে এন্ট্রিকৃত বইয়ের সংখ্যা ছিল ৩৬১২টি। তবে এখন কলেজের গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা অর্ধেক নেমে এসেছে। আইসিটি ভবন নির্মাণকালে গ্রন্থাগার সংস্কারের জন্য প্রধান গ্রন্থাগারিক জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে গ্রন্থাগারের সমুদয় বই অন্য আর একটি কক্ষে স্থানান্তর করেন এবং কক্ষে তালা লাগিয়ে তার কাছে চাবি সংরক্ষণে রাখেন। সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পরে গ্রন্থাগারে বই পুনঃস্থাপন করতে গিয়ে দেখা যায় প্রায় অর্ধেকের মতো বই নেই।
এ প্রসঙ্গে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের প্রধান গ্রন্থাগারিক জিয়াউর রহমান বলেন, বই বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ সঠিক নয়। আমার কাছে স্টক রেজিস্ট্রারে বইয়ের হিসাব সঠিক আছে।
এ বিষয়ে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, সহকারী গ্রন্থাগারিক রাজু আহমেদ তো অফিসে আসেই না। আর বই বিক্রির বিষয় সঠিক নয়।