রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গ্রাম্য সালিশে জুতাপেটা করায় অপমানে আত্মহত্যা করেছে জসিম (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়নের শাহাব্দিপুর গ্রামের মজিবুরের ছেলে এবং পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
জসিমের বড় ভাই রাশিদুল জানান, বুধবার (১৫ মে) রাতে সহপাঠী বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটকিয়ে রেখে বাড়িতে খবর দেয়। পরে তার বাবা ওখানে গেলে কিছু ছাত্রলীগ নেতা, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় লোকজন গ্রাম্য সালিশে রায় দেয় জসিমকে ২০ জুতা মারার। তাদের কথা মতো জুতা মেরে বাবা জসিমকে বাসায় নিয়ে আসেন। সেই রাত ১২টার পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী সবখানে খোঁজ করা হয়েছে।
নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে এই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জসিম স্থানীয় পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।
গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে আমাদের ধারণা অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে সে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।