গ্রেস দেয়া হয়নি, খাতা মূল্যায়ন যথাযথ হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

গ্রেস দেয়া হয়নি, খাতা মূল্যায়ন যথাযথ হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পাসের হার বাড়াতে গ্রেস নম্বরও দেয়া হয়নি, খাতাও উদারভাবে মূল্যায়ন হয়নি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বোর্ডের কারো হাত ছিল না। মেধাবী পরীক্ষার্থীরা কষ্ট করে লিখে যথাযথ ফল পেয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ ৬ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর সাথে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। 

বিএনপি-জামাত আমল থেকে উদারভাবে খাতা মূল্যায়ন, গ্রেস নম্বর দেয়াসহ বিভিন্নভাবে পাসের হার বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। মূল্যায়নের জন্য খাতা দেয়ার স্বজনপ্রীতি, অস্বাভাবিক কম সময়ে খাতা দেখা, পরীক্ষা না দিয়েও পাস করানোর ইতিহাস রয়েছে বোর্ডগুলোর।

বিভিন্ন বোর্ডে পাসের হারে ভিন্নতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোথাও কোথাও বেড়েছে, কোথাও কমেছে। যেখানে বেশি বেড়েছে সেখানে কোনো ধরনের শিথিলতা ছিল না।
 
ঢাকা বোর্ডে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমার কারণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা বোর্ডে গণিতে পাসের হার গতবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে। মানবিকে গতবছরের তুলনায় কমেছে ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যেহেতু মোট পরীক্ষার্থীর ৪০ শতাংশ মানবিকের পরীক্ষার্থী, তার প্রভাব পুরো পাসের হারের উপরে কিছুটা পড়েছে।
 
সিলেটে পাসের হার সবচেয়ে কম হওয়ার কারণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেখানেও গণিতে পাসের হার কম।
 
কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার বেশি হওয়ার কারণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোথাও যখন এগিয়ে যাচ্ছে সেটা আমাদের শেখার আছে। ধারাবাহিকভাবে একটি বোর্ড ভালো করলে নিশ্চয়ই ভালো কিছু করছে। এই পরিসংখ্যান থেকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।
 
বিষয়ভিত্তিক গণিতে সব বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। ইংরেজিতে ৯৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
 
আইসিটি শিক্ষায় পাসের হার কম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইসিটির শিক্ষক এখনও অপ্রতুল। আমরা শিক্ষক বাড়ানো ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করছি। কারিকুলার রিভিউ করার ক্ষেত্রে আইসিটি শিক্ষাকেও আরো বেশি দক্ষ করে তুলতে পারি- সে বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগ দিচ্ছি।
 
যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, কেন পারলো না, সেখানে ব্যর্থতা কোথায় আছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কী দায় আছে- এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে আমরা অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। 
 
অতীতে শূন্য পাস ‍প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অতীতে তাদের কারণদর্শাতে বলা হয়েছে। কারো কারো বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই সাধারণ গণিতে খুব খারাপ পরীক্ষা দেয়। তাছাড়া নতুন-পুরনো প্রশ্নে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। গণিতে পাসের হার কম বলে একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন। কিন্তু সব বোর্ডের সার্বিক পাসের হার গণিতের হিসেবের সাথে গড়মিল।

তালগোল পাকানোয় সারাদেশে অভিভাবকদের তীব্র সমালোচনার মুখে ‘ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে’ বলে ওই সময়ে ঘোষণা দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। খাতা আলাদা করে রাখা হয়েছে বলে উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জানানো হয়।

২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে বেরিয়ে আসে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচ বছরের অস্বাভাবিক ভালো ফলের কাহিনী। মাইলস্টোন, কাদের মোল্লা কলেজ ও সামছুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভালো ফলের নেপথ্যে রয়েছে নানা অভিযোগ।

২০০৬ ও ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের তুলনায় ২০০৮ ও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে অস্বাভাবিক ভালো ফলের তদন্ত করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পরামর্শক ও বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তা। এতে বেরিয়ে আসে ‘উদারভাবে’ খাতা দেয়ার নির্দেশনা, পাসের হার বাড়াতে গ্রেস নম্বর দিয়েও অস্বীকার করাসহ বিভিন্ন বিষয়। 

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035989284515381