নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও ৮ লাখ টাকা ঘুষ দাবির শর্ত পূরণ করতে রাজি না হওয়ায় নিয়োগ পাচ্ছেন না দ্বীন ইসলাম নামে এক চাকরি প্রার্থী। কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরতেরটেকিয়া মৌজা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে প্রার্থী তিনি। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন দ্বীন ইসলাম। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রোববার বিবাদীদের ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
জানা যায়, ওই পদে ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় ৭ আবেদনকারীর মধ্যে দ্বীন ইসলাম সর্বোচ্চ প্রথম হন। কিশোরগঞ্জ সরকারি এসভি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএস সাইফুল আলম, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোস্তফা সারওয়ার, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন। কিন্তু ফল ঘোষণার পর স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পেতে ৮ লাখ টাকা দাবি করেন। প্রার্থী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নিয়োগ দিতে টালবাহানা শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। দ্বীন ইসলাম নিয়োগ লাভের জন্য দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও নিয়োগপত্র পাননি।
এমন পরিস্থিতিতে ৯ আগস্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ ২২ জনকে বিবাদী করে কিশোরগঞ্জের সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। ১০ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। দ্বীন ইসলাম অভিযোগ করেন, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর তার কাছে নিয়োগলাভের শর্ত হিসেবে ৮ লাখ টাকা দাবি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা আমাকে নিয়োগ দিচ্ছেন না।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা সারোয়ার উৎকোচ দাবি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সব সদস্য ওই প্রার্থীকে নিয়োগ না দেয়ার পক্ষে একমত পোষণ করেছেন। এ অধিকার পরিচালনা কমিটি রাখে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, পরীক্ষাবিধি সম্মত হয়নি। তাই নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না।