বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও এক প্রার্থী নিয়োগপত্র না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর অনুমতি ছাড়া তিনি কিছু করতে পারবেন না। অন্যদিকে এমপি বলছেন, এখানে তাঁর ‘দোহাই দেওয়ার’ কিছুু নেই।
ভুক্তভোগী ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম মজিবুর রহমান। গত ১০ মার্চ মহিষকাটা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি প্রথম হন। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরাও তাঁর পক্ষে সুপারিশ করেন। নিয়োগ পরীক্ষাও স্বচ্ছ ছিল। কিন্তু এর পরও ঘুষ না দেওয়ায় মজিবুরের নিয়োগ আটকে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগের বিষয়টি লিখিতভাবে জানান মজিবুর রহমান। সেখানে মজিবুর রহমান জানান, পরীক্ষায় ১০ জনের মধ্যে তিনি প্রথম হন। বাছাই কমিটির সব সদস্য তাঁকে নিয়োগ দিতে সুপারিশও করেন। এরপর মাদ্রাসা সভাপতি তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ চান। এতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না।
মাদ্রাসা সভাপতি মো. আবু জাফর বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর অনুমতি ছাড়া আমি কিছু করতে পারব না।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।’ সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী যিনি প্রথম হয়েছেন ম্যানেজিং কমিটি তাকেই নিয়োগ দেবে। এখানে আমার দোহাই দেওয়ার কিছু নাই।’
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘অভিযোগটি লিখিতভাবে আমাকে এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’