চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসায় টিনের ছাপরায় চলছে পাঠদান। ঘূর্ণিঝড়ে মাদরাসার আধাপাকা ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। এর পর থেকে মাদরাসা চত্বরে টিনের ছাপরা দিয়ে চালানো হচ্ছে পাঠদান। ফলে বৃষ্টির দিনে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ মাদরাসা কর্তৃপক্ষের। তাই দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ বা পুরনো ঘরটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বর্তমানে মাদরাসাটিতে ৪৪৫ জন শিক্ষার্থী আছে।
১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি ও হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় মাদরাসাটি নির্মিত হয়। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্ত হওয়ার পর সরকারিভাবে দুই রুম ও স্থানীয়দের সহায়তায় আরো চারটি রুম নির্মাণ করা হয়।
মাদরাসা সুপার সহিদুল ইসলাম জানান, গত জুন মাসে ঘূর্ণিঝড়ে মাদরাসার আধাপাকা শ্রেণিকক্ষের টিনের চাল উড়ে যাওয়ায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ঘরটি। পরে একটি টিনের ছাপরা দিয়ে সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান হচ্ছে। একটু ঝড়-বৃষ্টি হলেই চারদিক থেকে পানি এসে ওই স্থানে আর বসার মতো অবস্থা থাকে না। কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। ফলে বর্ষার দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারে কমে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. মতিন বলেন, ‘মাদরাসার চাল উড়ে যাওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানায়নি বা কোনো আবেদন করেনি। এখন যেহেতু জানতে পারলাম এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’