গার্হস্হ্য অর্থনীতি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরা বৃষ্টির মরদেহ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মরদেহ শনাক্তের বিষয়টি জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯ জনের মরদেহ ও একটি বিচ্ছিন্ন হাত পাওয়া যায়। এর বিপরীতে ৪৮ জন দাবিকারীর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৩ জনের সঙ্গে ১১টি মরদেহের নমুনা মিলে যায়। বাকি ৮ বা ৯টি মরদেহের বিপরীতে ২৫ জন দাবিদার থাকল। যা শনাক্ত করতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগতে পারে। শনাক্তকৃত ১১টি মরদেহের পরিচয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু ঘটনাটি নিয়ে মামলা হয়েছে। তাই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে। আমরা প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। ওই কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ঘটনাস্থলেই মোট ৬৭ জন মারা যান। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪১ জন। তাদের মধ্যে আরও চারজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ জন।