আংশিক চন্দ্র গ্রহণ আজ গভীর রাতে সংঘঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ২:০২ মিনিটে আংশিক গ্রহণ শুরু হবে। রাত ৩:৩১ মিনিটে চন্দ্র গ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় ও ভোর ৫টায় আংশিক গ্রহণ শেষ হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি এশিয়ার অন্য দেশ, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা থেকেও এবারের চন্দ্র গ্রহণ দেখা যাবে বলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, চন্দ্র গ্রহণের সময় যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে। ফলে পৃথিবী থেকে মনে হয় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। চন্দ্র গ্রহণ প্রায় ঘন্টাকালীন স্থায়ী হয় কারণ চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়া অতিক্রম করে।
গ্রহণ চলাকালীন চাঁদকে অনেকটা তামাটে বা লালচে চাকতির মতো মনে হবে। এর কারণ হল সূর্যের কিছু আলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে বিকিরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে। অন্যান্য রং বিচ্ছুরিত হলেও লাল রং তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল দিয়ে প্রতিসরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে, এই কারণে গ্রহণের চাঁদকে লাল দেখায়।
অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞান চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মোঃ শাহজাহান মৃধা জানান, সূর্য গ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর হলেও চন্দ্র গ্রহণ খালি চোখে দেখা ক্ষতিকর নয়। চন্দ্র গ্রহণ দেখতে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ আবশ্যক নয়, তবে পরিষ্কার তথা ভালভাবে দেখতে সেগুলোর ব্যবহার করা যেতে পারে।