বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল, মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি, অর্থের বিনিময়ে অন্যদের জমি দখলে দেওয়া, ঘুষের টাকা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কেনা সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি চাকসুর ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমেদ।
২০১৬ সালের মে মাসে অবৈধভাবে জমি দখল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে হাটহাজারী থানা পুলিশ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃতও হন তিনি।
গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মী কনক সরকার ও জাহিদুল হাসানকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার (১অক্টোবর) বিকালে অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার পথে ২ ছেলে সহযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনী মসজিদের পাশের সামনে সমাজবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহকারী মো. আলমগীরকে রক্তাক্ত জখমেরও অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলমগীর বাদী হয়ে শুক্রবার হাটহাজারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায় ,জমিজমা নিয়ে ২০০৫ সাল থেকেই ভূুক্তভোগীর সাথে বিরোধ চলছিল।সেই বিরোধের জেরে এই হামলা করা হয়।
এভাবেই দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে নানাধরনের অন্যায় করে আসছেন জাকের আহমদ। তিনি বর্তমানে চাকসুর ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন।এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-সম্পত্তি শাখার উপ-নিবন্ধক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার দুই ছেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। পিতার পাশাপাশি তার দুই ছেলেও বিভিন্ন অন্যায় অপকর্মের সাথে জড়িত। এককথায় বাপ-বেটা মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের বিরাট সাম্রাজ্য।
অভিযোগে ব্যাপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত জাকের আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন,অভিযুক্ত ব্যাক্তি থানায় মামলা করেছে।বিষয়টি তাই থানার অধীনে। তবে তারা দুজনেই যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।আর তার অনন্য অভিযোগ স্টেট শাখার অধীনে। সেগুলো এখনো তদন্তাধীন।