চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলো থেকে অবৈধ শিক্ষার্থীদের সাত দিনের মধ্যে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার উপাচার্য দপ্তরে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ছাত্রলীগের সংঘর্ষ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাতটি ও ছাত্রীদের তিনটি আবাসিক হলে অসংখ্য অবৈধ শিক্ষার্থী সিট দখল করে আছে। হলের এসব সিট নিয়ে প্রতিনিয়ত ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক পক্ষগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আছে; যেসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন পক্ষের নামে রাজনীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তুলছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সভাপতি ও হলগুলোর প্রভোস্টদের সঙ্গে বসেছি, কীভাবে অভিযুক্তদের দ্রুত শনাক্ত করা যায়, এ ব্যাপারে পরামর্শ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবৈধ শিক্ষার্থীদের সিটগুলো খালি করে দিতে ইতোমধ্যে সব হলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন রেড সিগন্যালের দুই কর্মীকে মারধরের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর পদত্যাগসহ দুই দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন আরএস গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
পরদিন সকালে অবরোধ তুলে নেন। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি ছাত্রলীগের দু'পক্ষ সিএফসি ও বিজয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ছয় কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বহিস্কার চাওয়া হয়।