চাঁদা না দেওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একটি দোকানে ভাঙচুর ও মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন সংলগ্ন মদিনা কুলিং কর্নারে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার দোকানের মালিক মোহাম্মদ সেলিম হাটহাজারী মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত সবাই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বাংলার মুখ গ্রুপের কর্মী বলে জানা যায়। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে বাংলার মুখ।
সেলিমের বড় ভাই মোহাম্মদ হালিম বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে বাংলার মুখ গ্রুপের কয়েকজন কর্মী দোকানে এসে এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সেলিম চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের দাবি এক হাজার টাকা থেকে ৫০০ টাকায় নেমে আসে। সেলিম তাও দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে মারধর ও দোকান ভাঙচুর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাটহাজারী থানায় নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এসএম মনিরুল হাসান ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেনের সহায়তায় তাকে হাটহাজারী মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলার মুখ গ্রুপের নেতা আমীর সোহেল বলেন, 'ওই দিন রাতে ছেলেরা দোকানে নাশতা করতে গেলে দোকানদার তাদের সকালের বাসি খাবার দেয়। বাসি খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে দোকানদার জুনিয়রদের সঙ্গে চড়াও হয়। এতে ছাত্র ও দোকানদারের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সেখান থেকে পুলিশ দোকানদারকে নিয়ে যায়।' এ সময় ক্যাম্পাসে খাবারের মান উন্নয়নের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে এসএম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। ভাঙচুরকারী শিক্ষার্থীদের আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। খতিয়ে দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।