রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ১১ জানুয়ারি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাড়ি থেকে বের হন মো. ফয়েজ। তার পর থেকে স্বজন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না। এতে দুশ্চিন্তায়, হতাশায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজ মো. ফয়েজ (১৮) হাজীগঞ্জ পৌর এলাকা মকিমাবাদের রফিকুল ইসলাম ও নাছিমা আক্তারের ছেলে। বাবা জমির মাপজোকের কাজ করেন। মা গৃহিণী। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে ছোট ফয়েজ গত বছর রাজধানীর নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
গত ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুরের বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওসানোগ্রাফি বিভাগে ভর্তি হন মো. ফয়েজ। ১২ জানুয়ারি ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর আগের দিন দুপুরে হাজীগঞ্জের মকিমাবাদের ছোট মসজিদ এলাকার বাসায় মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কয়েক ঘণ্টা মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল ফয়েজের। সন্ধ্যার পর থেকে ফয়েজের ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানান বড় বোন মাহমুদা আক্তার। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না।
মো. ফয়েজের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তাঁর মা-বাবা প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আদরের সন্তানকে ফিরে পেতে তাঁরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, সাধারণ ডায়েরির পর গুরুত্ব দিয়ে নিখোঁজের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে ১১ জানুয়ারি রাতে মো. ফয়েজের অবস্থান রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারপর থেকে হদিস মিলছে না। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁকে খুঁজে পেতে কাজ চলছে।
বিদ্যালয়ের সহপাঠী ও গ্রামবাসী জানিয়েছে, বেশ মেধাবী ও বিনয়ী ফয়েজের সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না। বাসার পাশের মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন তিনি। হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাসের পর নটর ডেম কলেজে ভর্তি হন ফয়েজ। সেখানে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চেষ্টার পর বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।