রাজশাহীর দুর্গাপুরে চাঁদা না পেয়ে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফাকে (৫৬) পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তিনি শহীদ আবুল কাশেম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের অবসরে গেলে গত বছরের ১০ জুলাই কলেজ পরিচালনা কমিটি তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়। এরপর থেকেই চৌপুকুরিয়া তেনানিপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান মন্টু তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। মন্টুর চাঁদার দাবিতে কোন সাড়া না দিলে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস আগে তার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ে কয়েক দফা বসলেও অভিযোগের স্বপক্ষে কোন প্রমাণাদি দিতে পারেনি মতিউর রহমান মন্টু।
সর্বশেষ ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলীর কাছে তার বিরুদ্ধে পূনরায় লিখিত অভিযোগ করে মন্টু। ৪ জানুয়ারি ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বসা হলেও স্বাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেনি মন্টু।
শনিবার বিকেলে উপজেলা সদর থেকে মোটরসাইকেলে কলেজে ফেরার পথে নান্দোপাড়া-কাঁঠালবাড়িয়া রাস্তার মাঝে ফাঁকা জায়গায় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মন্টু ও তার ৪/৫ সহযোগি তার গতিরোধ করে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে। মাথায় হেলমেট থাকায় মাথা জখম না হলেও দুই হাত এবং দুইপায়ে গুরুতর জখম হয়। ঘটনার পর পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে।
বিষয়টি প্রাথমিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মোতালেব জানান, বিষয়টি শুনে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।