“এতদিন চাকুরি করেছেন ভালো করেছেন। এই যে পেনশনের জন্য এসেছেন তার জন্য অপরাধ করেছেন।” পেনশন নিতে গিয়ে এক বছরের বেশি সময় শিক্ষা ভবনে ঘোরাঘুরি করে নিজের তীক্ত অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই দৈনিকশিক্ষা ডটকমের কাছে বর্ণনা করেছেন সরকারি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আজিজ। তিনি বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। চতুর্থ গ্রেডে বেতন পেতেন তিনি।
দীর্ঘ ত্রিশ বছর চৌদ্দ দিন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, “সব কাগজ-পত্র বা সকল কিছু যথাযথভাবে দিয়েছি। এখানেও আমার বিষয়টা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না যে পেনশন সহজীকরণে সরকারের আদেশের গুরুত্ব কতটুকু। একজন লোক দীর্ঘদিন চাকুরি করার পর তার অধিদপ্তর হোক বা যেখানেই হোক স্বাভাবিকভাবে তাদের সহযোগিতা, সহমর্মিতা বা সহানুভূতি পাবেন। কিন্তু তার বিনিময়ে মনে হয় তিনি এতদিন চাকুরি করেছেন ভালো করেছেন এই যে পেনশন এর জন্য এসেছেন তার জন্য অপরাধ করেছেন। এ জাতীয় একটি মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ, যা আমি ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি।” পেনশন নিতে গিয়ে বেদনাদায়ক এবং বিতৃষ্ণাদায়ক অভিজ্ঞতার শিকার মানুষ তৈরির এ কারিগর মোঃ আব্দুল আজিজ চাকরি জীবনের শুরুতে প্রথম পোস্টিং পেয়েছিলেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মুলগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে।
পরে মাদারীপুর ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর টেকনিকেল হাই স্কুল, নারীন্দা গভঃহাই স্কুল,মুসলিম গভঃ হাই স্কুল, মেহেরপুর গভঃগার্লস স্কুল ও বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাই স্কুল ( বিজ্ঞান শাখা)। সেখান থেকে বদলি হয়ে ১ বছর ২ মাস পরে আবার বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাই স্কুল, ব্রাহ্মণদি কে কে স্কুল। সর্বশেষ টাঙ্গাঈলের সৈয়দ আব্দুল জব্বার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি পিআরএলে যান তিনি। এরপর ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি পেনশনে যান তিনি। পেনশন যেখানে ১ মাসের মধ্যে পাওয়ার কথা সেখানে এক বছরেরে বেশি হয়েছে কিন্তু কোন টাকা পাননি তিনি।