চাকরি প্রার্থীদের অধিকার ও বিড়ম্বনার ইতিকথা - দৈনিকশিক্ষা

চাকরি প্রার্থীদের অধিকার ও বিড়ম্বনার ইতিকথা

মো. রহমত উল্লাহ্ |

অধিকাংশ চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব বা চারিত্রিক সনদ, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা সনদাদির সত্যায়িত ফটোকপি চাওয়া হয়। আবার কর্মরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়ে থাকে। তদুপরি পাঁচশ’ থেকে দু’হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার চাওয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব কী জ্ঞানে, কী প্রয়োজনে, কোন আইনে, কোন ইনটেশনে চাওয়া হয়? একটু পর্যালোচনা করা প্রয়োজন এ বিষয়গুলো।

প্রথমত: প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব বা চারিত্রিক সনদ কেন নেয়া হয়? জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর নিয়েই তো নাগরিকত্ব যাচাই করা সম্ভব। তা করতে না চাইলে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নেয়া যেতে পারে। যদিও সেই এনআইডি আসল কিনা তাও অনলাইনে যাচাই না করে নিশ্চিত হওয়া অসম্ভব।

চারিত্রিক সনদ দিয়ে কি কারো আসল চরিত্র মাপা সম্ভব? যার চরিত্র সবচেয়ে খারাপ তার কি ভালো সনদের অভাব হয়? কর্মকর্তারা তাকেই তো সবার আগে সনদ দিয়ে দেন ভয়ে। তা না হলে সে-ই কোনো কর্মকর্তার সিল বানিয়ে নিজেকে এবং অন্যকে দিয়ে থাকে উত্তম নৈতিক চরিত্রের সনদ। তাছাড়া, সত্যি সত্যিই গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত ভালো চারিত্রিক সনদ দিয়ে চাকরি নিয়ে যারা ঘুষ খায় বা খারাপ কাজ করে তাদের দায় কি সেই সনদদাতা বহন করেন? সেই সনদদাতাকে জিজ্ঞেস করলে-তো তিনি সোজা বলে দেবেন ‘আমি লিখেছি, আমার জানামতে সে ভালো। খারাপের খবর আমার জানা ছিল না। আমি তো আর সিআইডি না।’

কী মূল্য আছে এমন চারিত্রিক সনদের? সকল আবেদনকারীর কাছে কেন চাওয়া হয় এই মূল্যহীন চারিত্রিক সনদ? বরং যাকে চাকরি দেয়া হবে কেবল তার চরিত্র, নাগরিকত্ব ও অন্যান্য বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিয়ে নেয়া কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব। প্রার্থীকে বিশ্বাস করে না এবং প্রার্থী কর্তৃক সংগৃহীত ও দাখিলকৃত তার চারিত্রিক বা নাগরিকত্ব সনদও বিশ্বাস করে না বলেই নিয়োগের সময় খোঁজখবর নিয়ে থাকে বা পুলিশ ভেরিফিকেশন করে থাকে কোনো কোনো নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। তারপরও সব আবেদনকারীর নিকট থেকে অহেতুক এসব চারিত্রিক বা নাগরিকত্ব সনদ জমা নেয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন ও অযৌক্তিক নয় কি?  

দ্বিতীয়ত: প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা সনদাদির ফটোকপি সকল আবেদনকারীর নিকট চাওয়া হয় কেন? পরে আবার সেই সত্যায়িতকে অবিশ্বাস করে ভাইভার সময় মূলকপি নিয়ে যেতে বলা হয় কেন? জাল সনদে কেউ চাকরি করে ধরা পড়লে যিনি এই সনদের ফটোকপি সত্যায়িত করেছিলেন তিনি কি দায়ী হন? তিনি তো বলবেন, আমি মূল কাগজ দেখে ফটোকপি সত্যায়িত করেছি। মূলটা জাল কিনা তা আমি জানবো কীভাবে? এত সনদ যাচাই করার সময় সুযোগ কই আমার?

আসলেই লাখ লাখ আবেদনকারীর কাগজ সত্যায়িত করার সময়ই তো নেই গেজেটেড কর্মকর্তাদের। বার বার আবেদন করার জন্য একজন প্রার্থীকে সত্যায়িত করাতে হয় ১০ থেকে ২০ সেট কাগজ। হয়ত তাই অধিকাংশ চাকরি প্রার্থীর ব্যাগে বা ড্রয়ারে গেজেটেড কর্মকর্তার সিল থাকে বলে শোনা যায়। তা সত্য হলে সেই সিলে কেমন হয় সত্যায়িত? এটি কি সত্যায়িত না কি মিথ্যায়িত? সকল প্রার্থীর নিকট থেকে এই বিশ্বাসহীন সত্যায়িত কাগজ চেয়ে কেন করা হচ্ছে হয়রানি, কেন করানো হচ্ছে অন্যের সিল বানানোর মতো অপরাধ? লাখ লাখ ফটোকপি চেয়ে কেন করা হচ্ছে অপচয়?

অথচ বাছাইয়ের পর যাকে বা যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে কেবল তার বা তাদের জীবন-বৃত্তান্তের বিবৃতি ও অর্জিত সনদাদির সত্যতা নিয়মমাফিক (সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র লিখে বা অনলাইনে) যাচাই করে নেয়া তো নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব। অতপর অফিসে সংরক্ষণের প্রয়োজনে তার বা তাদের সনদাদি যত খুশি ফটোকপি করে নিজে সত্যায়িত করে রাখাও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। প্রার্থীর সনদের ফটোকপি প্রার্থী কর্তৃক অন্যকে দিয়ে সত্যায়িত করিয়ে নিয়ে কোনোভাবেই এই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারে না নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ।


 
এসব বিষয়ে পরবর্তীকালে কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে নিয়োগকারীকেও দায়ী করা উচিত। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে সত্যায়িত কাগজপত্র চাওয়া নিষেধ করা হয়েছে সেই ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে (রিপোর্ট- দৈনিক কালের কন্ঠ, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫)। অথচ এখনো কোন জ্ঞানে, কোন যুক্তিতে, কোন আইনে (ছোট-মাঝারি-বড় পদের) বিভিন্ন চাকরির সকল প্রার্থীর নিকট থেকে সনদাদির সত্যায়িত (?) ফটকপি চেয়ে করা হচ্ছে অপচয়, অবিশ্বাস ও হয়রানি? 

তৃতীয়ত: কর্মরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়ে থাকে অনেক বিজ্ঞপ্তিতে। কিন্তু কেন? চাকরি বিধি-২০১৮ এর কোথাও তো এই কথা বলা নেই। যিনি কোথাও কর্মরত আছেন, তিনি তার বর্তমান নিয়োগপত্র বা অন্য কোনো চুক্তিপত্র অনুসারে কী শর্তে আছেন, তাতো তিনিই ভালো জানেন। অন্য কোথাও চাকরির আবেদন করতে পারবেন কিনা, যদি পারেন তো তার বর্তমান কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে কিনা, অন্যত্র চাকরি হলে ছাড়পত্র নিতে পারবেন কিনা, ছাড়পত্র নিতে হলে কোনো নির্ধারিত সময় বা অর্থদণ্ড দিতে হবে কিনা এবং দিবেন কিনা ইত্যাদি তিনিই জানবেন।

তিনি অন্যত্র চাকরির আবেদন করার সময় প্রয়োজন মনে করলে তার বর্তমান কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করবেন অথবা সরাসরি করবেন। যারা চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছেন, তারা কর্মরত সবাইকেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলছেন কোন যুক্তিতে? মোটামুটি ভালো প্রতিষ্ঠানে অনুকূল পরিবেশে কর্মরত থাকা ভালো বা যোগ্য লোকেরা সাধারণত কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অন্যত্র আবেদন করতে চান না। কারণ, দু’একটি আবেদনে তার চাকরি হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। আবার সবাইকে জানিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বার বার আবেদন করতে গেলে বর্তমান কর্মক্ষেত্রে তার গুরুত্ব কমে যায়।

তা ছাড়া যে কোনো ইনটেনশনে কর্তৃপক্ষ কাউকে অন্যত্র আবেদন করার সুযোগ দিতে না চাইলে (আইনত দিতে হবে) এখানেই কর্মরত থাকতে হবে বিধায় কর্মীর তেমন কিছুই বলার বা করার থাকে না। ফলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র চাওয়া হলে অনেক কর্মী অন্যত্র আবেদন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

বিভাগীয় প্রার্থীদের বেলায় বর্তমান চাকরিকাল, বর্তমান বেতন-ভাতা, ভোগকৃত ছুটি, ভবিষ্যতে প্রাপ্য গ্র্যাচুয়িটি বা পেনশন ইত্যাদির ধারাবাহিক হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র নেয়া যেতে পারে। অন্যান্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যম ব্যতীত আবেদন নেয়া যাবে না এমন কোনো আইন তো নেই আমার জানামতে। কারো অন্যত্র চাকরি হলে বর্তমান কর্তৃপক্ষ বিনা কারণে যেতে দেবে না শ্রম আইনে এমন কোনো ধারাও বিদ্যমান নেই। তাহলে এই শর্ত যুক্ত করে কেন খর্ব করা হচ্ছে অনেক যোগ্য প্রার্থীর অধিকার?

নিয়োগকর্তা যাকে নিয়োগ দেবেন তার যোগদান কোনো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে চাইলে প্রার্থীর নিকট থেকে সেই মর্মে একটা প্রতিশ্রুতিপত্র নিতে পারেন বড় জোর। যদিও নিয়োগপত্র পাওয়ার পর কাজে যোগদান করা না করার স্বাধীনতা প্রার্থীর থাকবেই; আবেদন যেভাবেই করুক। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলেও সেই কর্তৃপক্ষ তার কর্মী বাধ্য করতে পারবে না অন্যত্র যোগদান করতে। আবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করার পরে কর্মী কোনো ঝামেলায় জড়িয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক বিলম্ব করতে পারে অন্যত্র যোগদানের জন্য ছাড়পত্র দিতে।

উল্লিখিত বাস্তব অবস্থাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে অহেতুক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরিরত প্রার্থীদের বিব্রত করে আবেদন করার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার আইনগত ভিত্তি কী এবং এর সুবিধা বা যৌক্তিক কারণ কোথায়?
  
চতুর্থত: প্রায় সকল চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে পদ ভেদে পাঁচশ’ বা একহাজার বা দুইহাজার টকার ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার চাওয়া হয়ে থাকে। এটি চাকরি প্রার্থীদের জন্য একটি বড় চাপ। বিশেষ করে যারা বেকার তাদের জন্য বার বার আবেদন করার এই ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব বিষয়। এ কথা সত্য যে, নিয়োগ কার্য সম্পাদনের একটা ব্যয় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হয়। তাই বলে এই ব্যয়ের সকল টাকাই প্রার্থীদের নিকট থেকে আদায় করতে হবে এটি যুক্তিযুক্ত নয়। তদুপরি অধিক সংখ্যক লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক ডিপার্টমেন্ট এই ব্যয়ের অতিরিক্ত অনেক টাকা আয়ও করে থাকে, যা একেবারেই মানা যায় না।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বেকার আবেদনকারীদের নিকট থেকে ব্যাংক ড্রাফট বা পেঅর্ডারের মাধ্যমে অফেরত শর্তে টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের আয় বা পূঁজি বাড়ানো আইনগত ও বিবেকগতভাবে মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। অথচ সরকারি বা বেসরকারি প্রায় সকল ডিপার্টমেন্টে এমনটাই হচ্ছে। ফলে আবেদন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেক যোগ্য প্রার্থী।

যে ডিপার্টমেন্ট বেশি সংখ্যক লোককে নিয়োগ ও বেতন-ভাতা দিতে পারে সে ডিপার্টমেন্ট নিয়োগের ব্যয় বহন করতে পারে না এটি কেমন কথা? উদ্দেশ্য মহৎ হলেই তা পারার কথা। যোগ্য প্রার্থী বেশি পেতে চাইলে তা পারতেই হবে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানেই দু’একজন কর্মচারী বা কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাওয়া হচ্ছে পাঁচশত বা একহাজার অথবা দুইহাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট বা পেঅর্ডার। এক্ষেত্রে সাধারণত আবেদনের সংখ্যা কম থাকে বিধায় প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি লাভজনক হয় না; বরং তহবিল থেকে নিয়োগ ব্যয় সম্পন্ন করতে হয়।

তবে একক প্রার্থীর পক্ষে এই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। কেননা, দু’চারটি আবেদন করলেই যে কাঙ্ক্ষিত চাকরি হয়ে যায় তা তো নয়। বার বার এই অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয় বিধায় অনেক প্রার্থী আবেদন করতে ব্যর্থ হন বা করেন না। ফলে নিয়োগকারী যোগ্য প্রার্থী কম পেয়ে থাকে। যেহেতু দু’চারজন লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া তেমন বড় হয় না এবং যেহেতু আবেদনকারীদের নিকট থেকে দু’এক হাজার করে টাকা নিয়েও নিয়োগ ব্যয় সম্পন্ন হয় না; সেহেতু অধিক যোগ্য প্রার্থী পাওয়ার স্বার্থে এই টাকা না নেয়া উত্তম।

এমনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায় যেখানে পাঁচশত বা একহাজার বা দুইহাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট বা পেঅর্ডার দিয়ে আবেদন করতে বলা হয় এবং সেই নিয়োগ সম্পন্ন করা না করা ও কারো প্রার্থিতা বাতিল করা না করা কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাধীন রাখা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরে দেখা যায় সেই নিয়োগ আর কোনোদিনই দেয়া বা সকল প্রার্থী ডাকা হয় না। এভাবে নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ দেয়া টাকা মেরে দেয়ার অধিকার কি কেউ (বিজ্ঞপ্তিতে লিখে দিয়ে) সংরক্ষণ করতে পারে আইনত? আসলে নিয়োগ পরীক্ষার ফি আদায় করা না করা, আদায় করা হলে পরিমাণ নির্ধারণ করা, আদায়কৃত টাকা ফেরত প্রদান করা না করা ইত্যাদি বিষয়ে সুষ্ঠু নীতিমালা না থাকার কারণেই অনৈতিক সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন নিয়োগকারী এবং বার বার অহেতুক অর্থদণ্ড দিচ্ছে অসংখ্য নিয়োগপ্রার্থী। যা মোটেও উচিত নয়। বাস্তবে যে প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ হবে সেই প্রতিষ্ঠানের বহন করা উচিত নিয়োগ সক্রান্ত সকল ব্যয়।  

নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচিত বিষয়গুলোর যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা গভীরভাবে ভেবে দেখা প্রতিটি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব। অতীতে যেমন দেখে আসছি এখনও তেমনই করতে হবে সর্বক্ষেত্রে, এটি কোনো আধুনিক বিবেকবান যোগ্য মানুষের কথা হতে পারে না। এখন যুগ পাল্টেছে। সার্বিক কল্যাণ চিন্তা করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেটি অধিক যৌক্তিক, ন্যায়সঙ্গত ও আইনসঙ্গত সেটি করাই উত্তম। প্রয়োজনে করে নিতে হবে আরও আধুনিক নিয়োগ বিধান বা বিদ্যমান বিধানের সংশোধন।

লেখক: অধ্যক্ষ।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035579204559326