বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে শ্রমিকের সংখ্যা ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের নিট গার্মেন্টস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বিকেএমইএ। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষ তাদের নিজ এলাকায় চলে গিয়েছিলেন।
ছুটি শেষ হওয়ায় শনিবার (৪ এপ্রিল) থেকে আবারও নিট গার্মেন্টসগুলো খুলবে। তাই চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় বা ঢাকার আশেপাশে ছুটে চলেছেন কর্মজীবী এসব মানুষ। ফলে এসব মানুষের খাওয়া-পরার তাগিদেই চায়ের স্টল থেকে শুরু করে খুলে যাবে সব কিছু। যাতে `Stay Home' নীতি কার্যকর করার জন্য প্রশাসনের যে প্রচেষ্টা তা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যাবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রায় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পোশাক শিল্প এভাবে খুলে দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা সরকারের নীতিনির্ধারকরাই জানেন।
লকডাউন না করে পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ায় মানুষ ছুটি পেয়ে নিজ নিজ এলাকায় চলে গিয়েছিল। আবার ছুটি শেষে এসব মানুষ কর্মস্থলে ফিরছে। এতে করে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার যে মূল লক্ষ্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ, সেই লক্ষ্য কিন্তু অর্জিত নাও হতে পারে।
মূল লক্ষ্য থেকে সরে যাওয়ায় এই বন্ধ কেবল ছুটি কাটানোয় পর্যবসিত হচ্ছে। পোশাক শিল্প খুলে দেয়ায় যদি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ না হয় তাহলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে সমস্যা কোথায়?
লেখক : আবদুল্লাহ মামুন, সহকারী শিক্ষক, সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]