দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চাকরির দাবি দীর্ঘদিনের। তার-ই পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। তাদের ছয় দফা দাবির অন্যতম কর্মসংস্থান। তাতে কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ।
জানা যায়, গত ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএস পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পিএসসির হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়। পিএসসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে বৈঠক করেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এরমধ্যেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক সরকারি চাকরি ‘রিসোর্স শিক্ষককে’ ৪৫টি শূন্যপদ পূরণ করার জন্য গত ১৭ এপ্রিল একটি সার্বজনীন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরফলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা সে নিয়োগে পিছিয়ে পরে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি মধ্যে রয়েছে, স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর চাকরিতে যোগদান করার আগ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা করে গ্র্যাজুয়েট দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মাসিক বেকার ভাতা প্রদান, নবম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি, বেসরকারি চাকরিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়োগ, গত ১৭ এপ্রিল সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত দশম গ্রেডভুক্ত রিসোর্স শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল এবং এসব পদে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল পদ্ধতিতে পাঠদানের জন্য উপযুক্ত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রদান, সরকারি-বেসরকারি চাকরি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রুতিলেখক নীতিমালা মেনে চলার নিশ্চয়তা প্রদান, বিশেষ ব্যবস্থায় চাকরির সুযোগ প্রদানের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রতিবছর একবার বিশেষ ব্যবস্থায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ প্রদান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সর্বস্তরে সুযোগ প্রদান।