হাটহাজারী পৌর সদরের গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম সুলতানা তুহিনকে (১৩) ধর্ষণ, খুন ও লাশ গুমের চেষ্টা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর। গতকাল রোববার (৭ জুলাই) আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। পুলিশ চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ ওরফে মুন্না (২২) ও তার পিতা-মাতাসহ তিন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ সেপ্টেম্বর হাটহাজারীতে নিজ বাসায় নিয়ে স্কুলছাত্রী তাসনিম সুলতানা তুহিনকে (১৩) ধর্ষণের পর নির্মমভাবে খুন করে মামলার প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্না। সম্ভ্রম ও আত্মরক্ষার্থে তুহিন চিৎকার দিলে মুন্না তার মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে তুহিনের লাশ ওই ঘরের সোফার নিচে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাখে।
ঘটনার ৩ দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পালাতে গিয়ে মুন্না পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোফার নিচ থেকে তুহিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুন্নার পিতা-মাতা পালিয়ে যায়। বর্তমানে মামলার প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্না কারাগারে থাকলেও মামলার অপর দুই আসামি মুন্নার পিতা শাহ জাহান সিরাজ ও মাতা নিগার সুলতানার উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক শিক্ষাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তুহিন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান আসামি মুন্নাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন মামলায় প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ ওরফে মুন্না ও অপর দুই আসামি মুন্নার পিতা শাহ জাহান সিরাজ (৫২) ও মাতা নিগার সুলতানার (৪৫) বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেয়া হয়েছে। চার্জশিটে আদালতের কাছে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।