দুর্নীতির অভিযোগে পাবনার চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের অপসারণ দাবিতে মানবন্ধন ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন একই কলেজের শিক্ষকরা। এ আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে। অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি সরেজমিন তদন্তে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করেও তা বাতিল করেছে গত সপ্তাহে। আতাউরের সঙ্গে সখ্য রয়েছে তদন্ত কমিটির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাটমোহর কলেজের একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযুক্ত অধ্যক্ষের সঙ্গে সাবেক ইসলাম ব্যাংক কর্মকর্তা ও শিক্ষাভবনের দালাল আতাউরের একাধিক গোপন বৈঠক হয় সম্প্রতি। যুদ্ধাপরাধী জামাতে ইসলামী নেতা ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড হওয়া মতিউর রহমান নিজামীর সুপারিশে ইসলামী ব্যাংকে চাকরি হয় আতাউরের। এই আতাউরকে দেখা যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কলেজ শাখার দালাল ও পিওনদের সঙ্গে ঘুরঘুর করতে।
চাটমোহর সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামাল মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কলেজ ক্যাম্পাসে বেশ কিছুদিন হল আমরা বহিরাগত কিছু দুঃষ্কৃতিকারীদের দ্বারা উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছি। এই কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীদের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে কলেজের পরিবেশ বিনষ্ট করতে এমনটা করা হচ্ছে বলে আমরা কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা মনে করছি।
তিনি আরো জানান, বহিরাগতরা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করে অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর সঙ্গে মাঝে মাঝে কথোপকথন করে এবং ছাত্র ছাত্রীদের আমরা যখন ক্লাস করাতে থাকি তখন তারা ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে উচ্চ স্বরে কথা বলাসহ প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে। এতে করে আমরাসহ কলেজের সকল শিক্ষার্থীরাও আতংকিত। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত মানুষ কলেজ ক্যাম্পাসে এনে হট্টগোল বাধিয়ে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন।
দালাল আতাউরের সঙ্গে গোপন বৈঠকের বিষয়েও জানা যায়নি বলে জানান অপর শিক্ষকরা।
এ সকল বিষয়ে চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।