পাবনার চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানের সাময়িক বরখাস্তের স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অধ্যক্ষের এক রিট আবেদন নিয়ে শুনানি শেষে হাইকোর্টের এক ব্রেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন এবং রুল জারি করেন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর অধ্যক্ষ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কলেজে যান বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ।
জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানকে ভূতাপেক্ষভাবে তার চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। অধ্যক্ষ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তার বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অধ্যক্ষের এই রিট আবেদন নিয়ে শুনানি শেষে হাইকোর্টের এক ব্রেঞ্চ স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।
অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বরখাস্ত করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত করা হয়। তদন্তকালে তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেননি বরং কীভাবে তা বাধাগ্রস্ত করা যায় সেই অপচেষ্টা করেছেন। তদন্ত কমিটির সঙ্গে অধ্যক্ষের এমন আচরণ ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং তিনি তদন্ত কাজে অসহযোগিতা কিংবা সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এ কলেজটি নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ও অধ্যক্ষের মধ্যে বিভক্তি এলাকায় অধ্যক্ষের অপসারণে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন ও উত্তেজনাকর পরিবেশের বিষয়ে দৈনিক শিক্ষায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
কলেজটিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণের কাজ অনিশ্চিত হওয়ায় তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা ও ক্ষোভের। তাছাড়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলায় গত ২৬ জানুয়ারি তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।