ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে ‘মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট’ প্রোগ্রামে ‘চিরকুটে ভর্তি’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চলতি বছরের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিলের পরপর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি বিভাগের সান্ধ্য প্রোগ্রামে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতাকে অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ দেয়ার অভিযোগ এনে গতকাল রোববার উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। দুদিন ধরে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা আমলে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগটি অস্বীকার করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ দু’দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। খবরটির মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উপাচার্য কোন বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য কোন ‘চিরকুট’ বা নির্দেশনা কখনো কাউকে দেননি, দেবার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট নিয়মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করেন।’ তাই উপাচার্যকে আবর্তন করে অবান্তর, অসত্য, দায়িত্বহীন বক্তব্য ও তথ্য প্রচার না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয় গণমাধ্যমগুলোকে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষ দাবি করে, সব সান্ধ্যকালীন বা প্রোফেশনাল একাডেমিক কার্যক্রম বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিলের পরপর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি বিভাগের সান্ধ্য প্রোগ্রামে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতাকে অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ দেয়ার অভিযোগ এনে এ দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যকে ‘চিরকুট ভিসি’ হিসেবে আখ্যা দেন তারা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। রোববার একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের আট নেতার ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হিসেবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে বলা জানায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।