ছাত্র রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতিকের খোঁজে - Dainikshiksha

ছাত্র রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতিকের খোঁজে

এ কে এম শাহনাওয়াজ |

জাতীয় নির্বাচনোত্তর পর্বে সরকার এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল। বিরোধী দল তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সরকারের সামনে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার অবস্থায় নেই। এসব কারণে সরকার অনেকটা নির্ভার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তায় উন্নয়নের পথে দেশ অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে। এ পর্বে সরকার প্রধান জনগণের প্রত্যাশা মাফিক মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। একইভাবে আমরা যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট তারা ভেবেছিলাম শিক্ষাঙ্গনকে কলুষমুক্ত করার পদক্ষেপও নেওয়া হবে। এ কাজে এর চেয়ে আর অনুকূল অবস্থা কবে পাওয়া যাবে কে জানে! কিন্তু এই প্রত্যাশিত জায়গাটিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সরকারি উত্সাহ আমরা তেমন দেখতে পাচ্ছি না।

আমাদের দলীয় সরকারগুলো বরাবরই নিজ দলীয় ছাত্র সংগঠনগুলোকে প্রশ্রয় দিয়েছে। ক্যাম্পাসে একশ্রেণির তরুণদের দলীয় লাঠিয়াল হিসেবে গণ্য করেছে। এই কারণে জাতীয় পার্টির ছাত্রসমাজ, বিএনপির ছাত্রদল আর আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির চর্চা করতে পারেনি। এ ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন যে ছাত্র কল্যাণমূলক কর্মসূচি নিতে পারে, ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক চর্চায় ভূমিকা রাখতে পারে এ কথা মানুষ ভুলতে বসেছে। মানুষ অভিজ্ঞতা দিয়ে বিশ্বাস করছে এসব দাপুটে দলীয় ছাত্ররা ছাত্রের গুণাবলি ত্যাগ করে চাঁদাবাজ আর সন্ত্রাসী হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। নিয়োগ বাণিজ্য আর ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকছে তারা বেশির ভাগ সময়। এ ব্যাপারে ক্যাম্পাসবাসীদের মধ্যে হতাশা ও ভয় কাজ করে। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে তারা কবে মুক্তি পাবে সেটাই বড় প্রশ্ন।

আওয়ামী লীগ সরকারের এই পর্বে অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল এবার শুদ্ধি অভিযান চালাবে সরকার। ছাত্রলীগকে আপন ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু কার্যত তেমন শাসন দেখতে পাচ্ছি না। একটি প্রত্যাশার জায়গা তৈরি হয়েছিল ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সুস্থধারা তৈরির আশা ছিল। সরকারের হারাবার কিছু ছিল না। তারপরও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএম হলের এক ছাত্রকে মারধোরের ঘটনায় আবার অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কজন ছাত্রলীগ কর্মীকে মাদকসেবী ছিনতাইকারী হিসেবে ধরে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একশ্রেণির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

ফর্মূলায় আটকে থেকে কেউ কেউ বলে বেড়ান, ভবিষ্যত্ রাজনীতির শূন্যতা পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি অবশ্যই থাকা উচিত। সেই সঙ্গে সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার এবং স্বাধীনতা-পূর্ব উজ্জ্বল ছাত্র রাজনীতিকে উদাহরণ হিসেবে এনে দাঁড় করান তারা। কিন্তু তাদের কী করে বুঝাই ‘ছাত্র রাজনীতি’ আর বর্তমান ধারার দলীয় ছাত্র রাজনীতি এক কথা নয়। যার যার দলীয় আদর্শ ধারণ করা বা তা বাস্তবায়নে দোষের কিছু নেই সত্য; সংকট তখনই যখন দলীয় সমর্থনে রাজনীতি চর্চার বদলে সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা গণতন্ত্রের প্রকৃত অর্থ বুঝতে চায় না। পরমত সহিষ্ণুতাকে পরিত্যাজ্য ঘোষণা করে। তারা নিজ রাজনৈতিক দলের আদর্শেরও সৈনিক হতে পারে না। যারা ভাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি চর্চা করে তারা ভবিষ্যতের রাজনীতিক হবেন, গণতন্ত্র রক্ষা করবেন, তাদের অনেক স্বপ্নই পূরণ হবার নয়। বিগত চার দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এমন একজনও কি পাওয়া যাবে যারা অন্তত তাজউদ্দিন আহমদ, রাশেদ খান মেনন, মুজাহেদুল ইসলাম সেলিম বা তোফায়েল আহমদ হতে পেরেছেন? এখন যদি আমূল সংস্কার ছাড়া সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকারের দোহাইয়ে প্রচলিত ধারার ছাত্র রাজনীতিকেই অনুমোদন করি তাহলে আকাশের কালো মেঘ আরো জমাট হবে।

নষ্ট ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত না থেকে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভবিষ্যত্ রাজনীতিক হওয়ার দীক্ষা নিতে পারবে না? তাহলে একবার চোখ ফেরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধারার সাংস্কৃতিক সংগঠনে কর্মী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীরা কাজ করে যাচ্ছে। চর্চার সঙ্গে যুক্ত বলে তুলনামূলক বেশি রাজনৈতিক সচেতনতা থাকার কথা তাদের। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থনও আছে অনেকের। কিন্তু সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সাধারণত কোনো জাতীয় দলের লেজুড় ভিত্তিক সংগঠন নয়। তাই কোনো স্বার্থবাদিতা বা উন্মত্ত আচরণ খুব কমই তাদের মধ্যে দেখা যায়। তারা চাঁদাবাজি করে না—পকেটের পয়সা বাঁচিয়ে সংগঠন চালাতে চাঁদা দেয়। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত সতীর্থদের হাতে মাঝে-মধ্যেই লাঞ্ছিত হয়। সুতরাং, দেশের ভবিষ্যত্ রাজনীতির হাল ধরতে দুর্বৃত্ত রাজনীতির দীক্ষা নেওয়া অনিবার্য হতে পারে না।

যে প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে পুরো সিস্টেমটি দাঁড়িয়েছে সেখানে দলীয় ছাত্র রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের শাসন করার রিমোট কন্ট্রোল আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থাকে না। থাকে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে। নষ্ট রাজনীতির কাঠামোতে এখন ভিসি থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি হিসেবে যারা নিয়োজিত হন তাদেরও সাধারণত দলীয় পরিচিতি থাকে। তাদের ক্ষমতাপ্রাপ্তির পেছনে কখনো ছাত্র নেতাদেরও ভূমিকা থাকে। এ কারণে ইচ্ছে থাকলেও দলীয় ছাত্রদের শাসন করার ক্ষমতা থাকে না প্রশাসক-শিক্ষকদের। উল্টো তারাই মাঝে মাঝে শ্রীমানদের দ্বারা শাসিত হন। এক্ষেত্রে তাদের শক্তি যোগান কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগঠনের নেতারা। ইচ্ছে থাকলেও তারা তাদের ঘাটাতে চান না সহজে।

২০০৩ সালের একটি ঘটনার কথা বলা যায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলে কতিপয় ছাত্রদলের নেতার ক্যান্টিনে বাকি খাওয়া ও নানা অনাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হল প্রশাসন শৃঙ্খলাবিধির আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তখন বিএনপি সমর্থিত। তথাপি ভিসি থেকে শুরু করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন সকলেই এই ছাত্রদের আচরণে বিরক্ত ছিলেন। আমি প্রাধ্যক্ষ হিসেবে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের মৌখিক অনুমোদন নিয়ে হল প্রশাসনের সাথে যুক্ত শিক্ষকদের সমর্থনে অভিযুক্ত তিন নেতাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করি। যা ঘটার তাই ঘটতে লাগল। বহিষ্কারাদেশ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য নানামুখী চাপ আসতে থাকে। আমরা হল প্রশাসনের সকলে আমাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকি। শেষ পর্যন্ত একদিন রাত এগারোটার দিকে হলে কর্মকর্তাদের জরুরি সভা চলাকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা চড়াও হয়। আমাদের তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ করে ফেলে। বিদ্যুত্ টেলিফোনের লাইন কেটে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের সহকর্মীদের ওপর। সারা ক্যাম্পাস থেকে সকলে ছুটে আসেন। উপাচার্য মহোদয়ও আসেন। তাঁকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল। মাঝরাতে আমরা মুক্তি পাই। এরপর থেকে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সুর পাল্টে যেতে থাকে। চারদিক থেকে শাস্তি উঠিয়ে নেওয়ার চাপ আসতে থাকে। যেন শাস্তি দিয়ে অপরাধ করেছি আমরা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা ক্যাম্পাসে এসে তাদের ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ছাত্রনেতাদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় শিক্ষকদের কটাক্ষ করতে থাকেন। চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন উপাচার্য মহোদয়ের ওপর। শেষ পর্যন্ত তিনি ধরাশায়ী হতে বাধ্য হন।

বার বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলের সাথে যুক্ত থাকায় যার যার মূল দলের অবস্থান অনুযায়ী ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল ক্যাম্পাসে দাপটের সাথে চলে। এসব সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার অধিকার নিয়ে, যেমন সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা হওয়া, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, ক্লাসরুমে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা এসব প্রসঙ্গে কখনো স্লোগান তোলে না। তারা অনেক ক্ষেত্রে দানবীয় আচরণ করে যার যার মূল দলের ইস্যু বাস্তবায়নে। রাজনৈতিক অভিভাবকদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অসহায় আত্মসমর্পণে তাদের অনেকে চাঁদাবাজিতে যুক্ত থেকে আখের গুছিয়ে নেয়। বাম দলগুলোর বর্তমান ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের আচরণ দেখলে মনে হয় ষাটের দশকের যুক্তিবাদী ও আদর্শিক ইতিহাস আজ তাদের অচেনা। বাস্তব অবস্থা যা-ই হোক না কেন, তারা ফর্মুলায় আটকে থেকে জোর করে হলেও ইস্যু তৈরি করে মাঠ গরমের মধ্য দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতেই ব্যস্ত থাকে বেশি। একই আবর্তে থাকায় জাতীয় পর্যায়ের বাম রাজনৈতিক দলগুলোর মতো তাদেরও তাই কোনো শ্রীবৃদ্ধি নেই।

আশির দশকের দ্বিতীয় পর্ব থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির প্রকাশ্য অবস্থানে দাঁড়াতে পারেনি। সময়ের প্রয়োজনে দলমত নির্বিশেষে সকল ছাত্র-ছাত্রী ঐক্যবদ্ধভাবে মৌলবাদী দল হিসেবে ছাত্রশিবিরকে বিতাড়িত করেছিল ক্যাম্পাস থেকে। এরপর বহুবার শিবির অবস্থান গ্রহণ করতে চেয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে তারা দাঁড়াতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে দলীয় সংগঠনের সংস্পর্শ বর্জিত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরাই সক্রিয় ছিল বেশি। সুতরাং সহজেই অনুমেয়, দেশের ভবিষ্যত্ রাজনীতির হাল ধরার জন্য ক্যাম্পাসে নষ্ট রাজনীতির দলীয় কর্মী হয়ে রাজনীতির ট্রেনিং নেওয়ার দরকার পড়ে না।

আমরা বিশ্বাস করি, ক্যাম্পাস রাজনীতির এই অসুস্থতা শুধু বর্তমান নয়, আমাদের ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য এক অন্ধকার আবর্ত তৈরি করে রাখবে। ভুললে চলবে না শুধু ছাত্র নয়, দলীয় লেজুড় ভিত্তিক রাজনীতিতে একইভাবে বাধা পড়ে গেছে ক্যাম্পাসের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো কোনো অংশ। একই ধরনের আদর্শহীনতায় ভুগে বলে তারা ঐক্যবদ্ধভাবেই যেন একটি সুবিধাবাদের রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় যদি হয় জাতির মনন ও মেধা বিকাশের কেন্দ্র তবে একে এই অন্ধকার আবর্ত থেকে বের করে আনতে হবে। জ্ঞানচর্চার এই সচেতন ভূমি রাজনীতি বিচ্ছিন্ন হবে কেন! তবে সে রাজনীতির বিকাশ ঘটবে কোনো লেজুড়বৃত্তির মধ্য দিয়ে নয়—স্বাধীন পরিবেশে মুক্ত আর নির্লোভ চিন্তার মধ্যদিয়ে। এমন পরিবেশ যদি আমরা ফিরিয়ে দিতে পারি তবে এই মাটি থেকেই ভবিষ্যত্ রাজনীতিবিদ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জন্ম নিতে থাকবে।

 

 লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

 

সৌজন্যে: ইত্তেফাক

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.008289098739624