বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও কমিটি দিয়েছে ছাত্রদল, আর গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্রলীগ ও বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ। তবে, গোপনে কাজ করছে শিবিরসহ বিভিন্ন মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন। সম্প্রতি কমিটি দিয়েছে ছাত্রদলও। বুয়েট কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্দেশনা অমান্য করে ছাত্ররাজনীতি করলে বাতিল হবে ছাত্রত্ব।
শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বুয়েট প্রশাসন। এরপর থেকে বুয়েটে প্রগতিশীল কোনো ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রম না থাকলেও গোপনে কাজ করছে ছাত্রশিবিরসহ বেশ ক'টি মৌলবাদী ছাত্রসংগঠন। এমনকি ছাত্রশিবিরের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলামও বুয়েটের নগর পরিকল্পনা বিভাগের ছাত্র। কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালনের আগে, তিনি বুয়েট শাখা শিবিরের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে সুযোগ করে দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, 'ছাত্রশিবিরের বর্তমান সভাপতি বুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটি বুয়েট থেকে তাদের গোপন কার্যক্রম পরিচালিত করেছে। এর এমন অনেক প্রমাণও অতীতে আমরা পেয়েছি।'
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, 'বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কথাগুলো কেউ বলতে পারছে না। কিন্তু, এ সুযোগে শিবির এবং হিযবুত তাহরীর'র মতো সংগঠনগুলো গোপন কার্যক্রম বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু, বুয়েট প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণেই হয়েছে এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।'
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার বুয়েটে নতুন কমিটি দিয়েছে ছাত্রদল। সংগঠনটি বলছে, মৌলবাদী ছাত্ররাজনীতি প্রতিহত করতেই তাদের কমিটি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, 'কোনো চরমপন্থি সংগঠন যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্যই বুয়েটে কমিটি দেয়া হয়েছে।'
বুয়েট প্রশাসন বলছে, নির্দেশনা অমান্য করে রাজনীতিতে জড়ালে বাতিল হবে ছাত্রত্ব। শিক্ষাঙ্গনে মৌলবাদী শক্তি রুখতে অবিলম্বে প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি চালুর পাশাপাশি ছাত্রসংসদ চালুর দাবি ছাত্র সংগঠনগুলোর।