ছাত্র রাজনীতির বিকল্প নেই - Dainikshiksha

ছাত্র রাজনীতির বিকল্প নেই

কৈলাশ প্রসাদ গুপ্ত |

সাধারণত প্রায় সবাই ছাত্রনেতা থেকে জননেতা হয়েছে। বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে এসেছিলেন, কিন্তু সার্থক হয়েছেন কতটুকু? ছাত্র আন্দোলন ছিল বলেই বাংলার মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে, অধিকার নিয়ে লড়াই সংগ্রামের ফসল আজকের বাংলাদেশ।

২৮ বছরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হলো। ডাকসুর নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের একটি বিষয়ে মিল আছে। সেটি হলো ভিপি শুধু ভিন্ন মতের। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডাকসুর ভিপি কোটা আন্দোলনের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ২৯ বছর আগের রাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রদলের নেতা মো. রুহুল কবির (রিজভী)। যিনি বর্তমানে বি.এন.পি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব।

আজকের ডাকসুর ভিপি আজ থেকে ৩০ বছর পর বাংলাদেশ বা বিশ্বের কোন অবস্থানে থাকবে তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে।

কিন্তু কেন ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন? শুধু ডাকসু নয়, বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন কেন হয়নি এতদিন?

সরকার এদিকে মনোযোগ দেয়ার পূর্বে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে কেন স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে মনোযোগ দিলেন? এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল কি তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। তবে ২৮ বছরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যারা ছিলেন তারা কেন এই নির্বাচনে মনোযোগী হননি তা বিশাল এক গবেষণার বিষয়। তার থেকে বড় কথা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রকৌশল-মেডিক্যাল) ছাত্র-ছাত্রীরা এই বিষয়ে (নির্বাচন) লড়াই সংগ্রাম করে তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি বা করতে পারেনি কেন? এটিও একটি গবেষণার বিষয়।

তাহলে কি ধরে নিব ৯০% ছাত্র-ছাত্রীর মাথা ব্যথা ছিল না? অথচ প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনই বহাল তবিয়তে ছিল।

তাদের আদর্শ উদ্দেশ্য কী ছিল?

সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও কি ‘ছাত্রানং অধ্যয়নং তপঃ’ এই উপদেশ মেনে চলছিলেন। অধ্যয়নই ছাত্রদের একমাত্র তপস্যা হওয়া উচিত কি? শেখার জন্য এসো, সেবার জন্য বেরিয়ে যাও। শিক্ষাই একমাত্র লক্ষ্য। সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার জন্যই কি তারা ওই দিকে মনোযোগী হয়নি? কিংবা প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্র রাজনীতি? মনে মনে ঘৃণা করেছে? ছাত্র রাজনীতি মানেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির নেতা তৈরি করা, প্রাণনাশের আশঙ্কা, আহত নিহত হওয়া, পঙ্গুত্ব বরণ করা, অনির্দিষ্টকালের জন্য বার বার শিক্ষাঙ্গন বন্ধ, সেশনজট, শিক্ষা জীবন ধ্বংস! যখন শিক্ষা জীবন শেষ তখন সরকারী চাকরির বয়স শেষ!

সাধারণত প্রায় সবাই ছাত্রনেতা থেকে জননেতা হয়েছে। বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে এসেছিলেন কিন্তু সার্থক হয়েছেন কতটুকু? ছাত্র আন্দোলন ছিল বলেই বাংলার মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে, অধিকার নিয়ে লড়াই সংগ্রামের ফসল আজকের বাংলাদেশ।

সৌজন্যে: দৈনিক জনকণ্ঠ

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032510757446289