যশোরের অভয়নগর উপজেলায় রমজান আলী মোল্যা (১০) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন মাদরাসার সুপার এনামুল হক।
মাদরাসার উন্নয়নে এলাকাবাসীর কাছ থেকে আদায়কৃত ১৪০ টাকা থেকে ১০ টাকা খরচ করায় এ নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার বাশুয়াড়ি দিঘিরপাড় খানজাহান আলী নুরানী মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রজমান আলী ওই মাদরাসার হেফজখানার ছাত্র। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রমজান আলীর বাবা আজানুর মোল্যা বলেন, সুপারের নির্দেশ মোতাবেক মাদরাসার উন্নয়নে অর্থ আদায় করার দায়িত্ব পড়ে রমজান আলীর ওপর। সে মোতাবেক সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদরাসা এলাকা থেকে ১৪০ টাকা আদায় করে। সেখান থেকে ১০ টাকা খরচ করে রমজান। এ অপরাধে মাদরাসার সুপার মাওলানা এনামুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে রমজানকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে রমজানের পা ও নিতম্ব এবং শরীরের একাধিক অংশ ফেটে যায়।
এদিকে ছাত্র নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বাড়ির লোকজন রমজান আলীকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করে সোমবার রাতেই অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে রমজান আলী জানায়, বহুবার বলেছি, হুজুর আমাকে আর মাইরেন না। আমি আব্বুর কাছ থেকে ১০ টাকা এনে দেব। কিন্তু হুজুর আমার কথা না শুনে আমাকে মারার সময় বলতে থাকেন- তোর যে স্থানে মারছি, সে স্থান কাউকে দেখাতে পারবি না।
এদিকে রমজান আলীকে নির্যাতনের পর মাদরাসার সুপার মাওলানা এনামুল হক পালিয়ে গেছেন। তার কোনো হদিস মিলছে না।