যশোরের অভয়নগরের সীমান্তবর্তী এএমসিআর সামুতূল্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি মোল্যাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন একই প্রতিষ্ঠানের রফিকুল ইসলাম আকুঞ্জী নামের একজন শিক্ষক। আহত ছাত্রকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় নড়াইল জেলার বিছালী ইউনিয়নের এএমসিআর সামুতূল্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি মোল্যা (১৪) বলেন, সোমবার দুপুরে গনিত ক্লাস করানোর সময় পড়া না পারলে তাকে বেতের ছড়ি দিয়ে পিটিয়ে শ্রেণিকক্ষের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখেন বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আকুঞ্জী। টিফিন পিরিয়ডে রাব্বি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার বন্ধুরা মিলে তাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা আহত রাব্বিকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত ছাত্র রাব্বির বাবা বাকের মোল্যা বলেন, গণিতের ওই শিক্ষক এর আগেও তার ছেলেসহ অনেক ছাত্রকে এভাবে পিটিয়েছেন। আমার ছেলেকে বেদম পিটিয়ে আহত করেছেন, আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গণিত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী আমার সন্তানের মত। লেখাপড়ার স্বার্থে গায়ে হাত তুলতে হয়েছে। সরকারি নীতিমালা অমান্য করে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করার বিষয়ে তিনি ভুল স্বীকার করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র পিটিয়ে আহতের ঘটনায় আমি ও অন্যান্য শিক্ষকরা বিকেলে ওই ছাত্রের বাড়ী গিয়েছিলাম। তার মায়ের সাথে দেখা হয়েছে কিন্তু রাব্বি ও তার বাবার সাথে দেখা হয়নি। রাতে একজন শিক্ষককে অভয়নগর উপজেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
নড়াইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, এএমসিআর সামুতূল্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র পিটিয়ে আহতের ঘটনাটি আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।