প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের পদে থাকা নেতারাও হল ছাড়ছেন। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বাসা নিচ্ছেন আবার কেউ আত্মীয়স্বজনের বাসায় গিয়ে উঠছেন।
গত ৮ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে না। করোনার মধ্যেই যার যার জিনিসপত্র নিয়ে কক্ষ ছাড়তে হবে। গণরুম প্রথা উচ্ছেদ করে হলগুলোতে বৈধ শিক্ষার্থীদের থাকা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর আলোচনা হয় ওই সভায়।
সোমবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ঘুরে জানা যায়, প্রশাসনের নির্দেশনার পর শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ছেন। নিজ নিজ কক্ষে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিটি হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢুকতে হচ্ছে। কক্ষে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে রুম বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মহসীন হল থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাজারে যাচ্ছিলেন। তাদের একজন আনিসুর রহমান। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত একটি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করছেন। প্রশাসনের নির্দেশনা মতে তিনি তার কক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হল ছাড়েন।
তিনি বলেন, তিনি নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।পড়াশোনা শেষ হয়েছে। করোনার সময় হল ছেড়ে যেতে হওয়ায় অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে পারেননি। এখন সেগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত সবারই মেনে চলা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদে থাকা নেতারা হল ছেড়ে বাসা নিচ্ছেন। ছাত্রত্ব শেষ হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার ইচ্ছায় কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে নীলক্ষেত, আজিমপুর, ধানমন্ডি, মগবাজার ও পুরান ঢাকা এলাকায় বাসা নিয়ে উঠছেন। কেউ আবার বন্ধুদের বাসায় কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় গিয়ে উঠছেন।