ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পৃথক দিনে ফুল দিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দেন। তবে বিক্ষুব্ধ অংশের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে যাননি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিতে যান ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ অংশের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম। তাঁর নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ও সদস্য আনিসুর রহমান খন্দকারসহ ৫০ থেকে ৬০ জন নেতা-কর্মী জিয়ার সমাধিতে ফুল দেন। এসব নেতা-কর্মীর কয়েকজন ছাত্রদলের নতুন দুই কমিটিতে (কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) পদ পেলেও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। তাঁরা ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে মূল কমিটিকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছেন।
ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রদলের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমনটা কখনো হয়নি যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগের দিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দেয়া হয়েছে। অথচ বর্তমান কমিটি সেই ঐতিহ্যের ধারা লঙ্ঘন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে যাইনি।’
এদিকে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের আলাদাভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনকে ‘খুব স্বাভাবিক’ হিসেবেই দেখছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হচ্ছে তিন দিনব্যাপী। গতকাল মঙ্গলবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগের দিন ফুল দেয়াটা তেমন কোনো বিষয় নয়। আলাদাভাবে ফুল দেয়ার বিষয়টি আমরা ভালোভাবে অবগতও নই ৷ আর তাদের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে, তা স্রেফ রাজনৈতিক বক্তব্য।’