ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও ফরম ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শাখা ছাত্রদলের দেয়া স্মারকলিপি ফিরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শাখা নেতৃবৃন্দকে এক ঘন্টা বসিয়ে রেখে স্মারকলিপিসহ ফেরত পাঠিয়ে দেন প্রক্টর। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জিয়া পরিষদের শিক্ষক ও শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
সূত্র মতে, আগামী ভর্তি পরীক্ষায় ৪টি ইউনিটের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এতে এ ইউনিট ৫শ টাকা, বি ইউনিট ১৫শ টাকা, সি ইউনিট ৮শ এবং ডি ইউনিটের ফরমের মূল্য ১৩শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া গত বছর থেকে ভর্তি ফি কয়েকগুণ বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রতিবাদ জানায় ইবি শাখা ছাত্রদল। আজ শাখা দপ্তর সম্পাদক সাহেদ আহম্মেদ নিজ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিসহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ নিয়ে ভিসির সাথে সাক্ষাত করতে যান। বেলা দশটার থেকে তাদেরকে ভিসির ব্যাক্তিগত সহকারীর রুমে প্রায় ১ ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। স্মারকলিপি নিয়ে পিএস রেজাউলকে ভিসির কাছে পাঠানো হলেও ভিসির কাছে তা পৌঁছানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন নেতারা।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানো হলেও তাদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান এসে নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করেন। তিনি স্মারকলিপিতে ভুল এবং অসঙ্গতি আছে বলে তাদের জানান। একই সাথে তাদের দাবি অযৌক্তিক বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এতে তারা ক্ষোভ জানিয়ে ভিসি অফিস থেকে ফিরে আসেন।
এব্যপারে শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা স্মারকলিপি নিয়ে ভিসির সাথে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ১ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষার পর প্রক্টর এসে সু-কৌশলে আমাদের বের করে দেন।
ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, কারা এসেছিল আমি শুনিওনি। ভিসির সাথে সাক্ষাত করতে হলে প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেষ্টার মাধ্যম হয়ে আসতে হবে। স্মারকলিপির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রক্টরের কাছে জমা দিলেই আমি কপি পেয়ে যাবো।