ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ না থাকায় হারিয়েছে ভিপি পদ - দৈনিকশিক্ষা

ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ না থাকায় হারিয়েছে ভিপি পদ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন শেষ। প্রকাশ হয়েছে ফলও। ভিপি হিসেবে কোটা সংস্কার নেতা নুরুল হক নূরকে পরাজিত প্রার্থী ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের আলিঙ্গনের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আভাসও মিলেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, অধিকাংশ পদে ছাত্রলীগ জয়ী হলেও ভিপি পদে পরাজয়ের কারণ কি? ভিপি পদে ছাত্রলীগ বিরোধীদের ঐক্য, কোটা সংস্কার নেতাদের প্রতি শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকা, সভাপতির পক্ষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান না থাকার কারণেই এমন ফল বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৩ মার্চ) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন  বিভাষ বাড়ৈ ।

কোটা সংস্কার নেতার সঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতির পরাজয়ের পেছনে নানা কারণ থাকলেও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটকেই বড় বলে মনে করেন অনেকেই। তবে জানা গেছে, নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে কোটা আন্দোলনে সক্রিয় থাকা সরকারবিরোধী সকল পক্ষের সমঝোতা বৈঠক নূরকে ভিপি পদের জয়ী হতে সহায়তা করেছে। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত নেতারা বলছেন, কোটা আন্দোলন বিশ^বিদ্যালয়ের একটি বাস্তবতা, এটাকে অস্বীকার করা যাবে না। কোটা আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সরকারবিরোধী সকল ছাত্র সংগঠন বিশেষ করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্রী হলগুলোতে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ব্যাপক তৎপরতা ছিল এটা অস্বীকার করা যাবে না। কোটা নিয়ে সরকারবিরোধী মনোভাব এখনও কাটেনি। ফলে কোটা সংস্কার নেতাদের প্রতি দুর্বলতা আছে ক্যাম্পাসে এমন শিক্ষার্থী অসংখ্য। ছাত্রী হলগুলোতে এ অবস্থাটা সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট হয় সব সময়েই। ঠিক এমন অবস্থায় নির্বাচন করার সুফল পেয়েছে কোটা সংস্কার নেতা নুরুল হক নূর।

কিন্তু অন্যরা ভাল না করলেও নূরের ভাল করার কারণ কী? নির্বাচন শেষে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে এটাও ছিল একটি প্রশ্ন। ছাত্রলীগ নেতা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বক্তব্য হচ্ছে নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে ছাত্রলীগ বিরোধী সকল সংগঠন একটি বৈঠকে অন্তত ভিপি পদে নুরুল হক নূরের জন্য ভোট দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। অন্যপদগুলোকে প্রার্থী সংখ্যা বেশি হওয়াসহ নানা কারণে সকলে একক প্রার্থী ঠিক করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ভিপি পদে ছাত্রলীগ বিরোধী সকল প্যানেলের অধিকাংশ ভোট পান নূর।

নির্বাচনে ছাত্রলীগ সভাপতির পরাজয়ের পর সোমবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে যে ক্ষোভ ও হতাশার প্রকাশ ঘটেছিল তা হঠাৎই হারিয়ে যায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই। মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে ভিপি পদে সভাপতির এ হারের জন্য কেবল হতাশায় ভুগছেন সভাপতির অনুসারীরা। দেখা গেল, সকাল থেকেই তার অনুসারীরা ভিসি অফিসের পাশে, টিএসসিসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন। যেখানে সভাপতি অনুসারী স্বল্পসংখ্যক নেতাকর্মী ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। ভিসি অফিসের সামনে দুপুরে শোভনের অনুসারী অনেককে হতাশায় বলতে শোনা গেছে, অন্য নেতারা জয়ী হয়ে ফেসবুকে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। হেরেছে কেবল সভাপতি। তাই অন্যদের খারাপ লাগছে না।

অন্যদের অংশগ্রহণ না থাকা মঙ্গলবার হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে ছাত্রদল ক্যাডারদের ধাওয়াও খেতে হয় ছাত্রলীগকে। এমনকি ছাত্রলীগ ধাওয়ার পরেও কোথাও সংগঠনের অন্যদের সংগঠিত হতে দেখা যায়নি। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, সভাপতি প্যানেলের জন্য সকলের কাছে গেলেও সেভাবে সকলের জন্য ভোটের মাঠে ছিলেন না অন্য অনেক প্রার্থীই।

গত কয়েক মাস ধরেই একটি প্রশ্ন আলোচিত ছিল পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দিয়ে ডাকসুতে মূল্য দিতে হবে ছাত্রলীগকে।পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছিল কমিটি না হওয়ায় শীর্ষ নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

সম্মেলনের পর প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও কমিটি নিয়ে নেতাদের অবস্থান পরিষ্কার না হওয়ায় ক্ষোভ ছিল অধিকাংশ নেতাকর্মীর। যারা নির্বাচনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেনি হতাশা থেকে। আবার বিষয়টি কিছুটা ‘কৌশলী’ ছাত্র নেতা হিসেবে পরিচিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মাঠে সক্রিয় থেকে কাটিয়ে উঠতে পারলেও সভাপতি পারেননি বলে বলা হচ্ছে।

ভোটের ফল দেখলেও একটি বিষয় সামনে চলে আসে। ফলাফলে দেখা যায় ছাত্রলীগের অন্য নেতারা ১৫ হাজার পর্যন্ত ভোট পেলেও সভাপতি সেই ভোট পাননি। নেতাকর্মীরা বলছেন, সভাপতির অনুসারী ও এলাকার ভোটাররা অন্য নেতাদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু সেই নেতাদের অনুসারী ও এলাকার ভোট পাননি সভাপতি। হয়ত প্যানেলের সকলে সমানভাবে কাজ করেননি সকলের জন্য-এমনটাই বলছেন সকলে।

ফলাফল বলছে, ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হন নূর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট। জিএস পদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান পান ৬ হাজার ৬৩ ভোট।

এজিএস পদে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ১৫ হাজার ৩০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৯৬ ভোট।

এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন সাদ বিন কাদের চৌধুরী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আরিফ ইবনে আলী। কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন লিপি আক্তার। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শাহরিমা তানজিম অর্নি। সাহিত্য সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মাজহারুল কবির শয়ন। সংস্কৃতি সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আসিফ তালুকদার।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শাকিল আহমেদ তানভীর। ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শামস-ঈ-নোমান। সমাজসেবা সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আখতার হোসেন। ডাকসু নির্বাচনের ২৫টি পদের দুটি বাদে অন্যগুলোতে ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন। সমাজসেবা সম্পাদক পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আখতার হোসেন জয়ী হয়েছেন।

এছাড়া ক্রীড়া সম্পাদক পদে শাকিল আহমেদ তানভীর, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে শামস-ঈ- নোমান ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে আখতার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। ১৩টি সদস্যপদে বিজয়ীরা হলেন- যোশীয় সাংমা চিবল (১২ হাজার ৫৬৮), মোঃ রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য (১১ হাজার ২৩২), তানভীর হাসান সৈকত (১০ হাজার ৮০৫), তিলোত্তমা সিকদার (১০ হাজার ৪৬৬), নিপু ইসলাম তন্বী (১০ হাজার ৩৯৩), রাইসা নাসের (৯ হাজার ৭৬৮), সাবরিনা ইতি (৯ হাজার ৪৫০), মোঃ রাকিবুল হাসান রাকিব (৮ হাজার ৬৭৩), নজরুল ইসলাম (৮ হাজার ৫০৯), মোছাঃ ফরিদা পারভীন (৮ হাজার ৪৮৯), মুহাঃ মাহমুদুল হাসান (৭ হাজার ৯৭৮), মোঃ সাইফুল ইসলাম রাসেল (৭ হাজার ৮১২) ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সবুজ (৫ হাজার ৫১৭)।

ছাত্রলীগের গত কমিটির সহ-সভাপতি আদিত্য নন্দী বলছিলেন, ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হলো। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হলো। তথাপি ছাত্রলীগে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে তথাকথিত ‘সিন্ডিকেট ভূত’ মুখ্য হয়ে রইল!

আরেক সহ-সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন নির্বাচন মূল্যায়ন করে বলছিলেন, নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল বিপুল বিজয় পেলেও আমি এই নির্বাচনে সন্তুষ্ট নই। আমার বিশ্বাস ভিপি পদে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের জন্য এই নির্বাচন নেতিবাচকই হয়েছে।

পরাজয়ের কারণ কি? এক ছাত্রলীগ নেতা বলেছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ভিপি হারিয়েছি আমরা। ছাত্রলীগের একটা বড় অংশ ভিপি পদে নূরুকে ভোট দেয়, যারা কিছুদিন আগেও ছাত্রলীগের সম্মেলন ঠেকাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহযোগিতা করেছিল। তারাই এই নির্বাচনে শোভনকে হারাতে কোটা আন্দোলনের নূরুকে ভোট দেয়, যার অনেক প্রমাণ আছে আমাদের হাতে। এরা নিজেদের প্রয়োজনে ছাত্রলীগের সঙ্গে বেঈমানী করতে কার্পণ্য করে না।

ছাত্রলীগের গত কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদী হানান রনি বলছিলেন, নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর সুষ্ঠু হয়েছে এ নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। আমরা অধিকাংশই ভাল করেছি। ভিপি পদে আমরা হেরেছি। তবে আমি মনে করি সকলে মিলে কাজ করতে পারলে যেমন ফল ভাল হতো তেমনি সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলেও ভাল ফল হতে পারত। কারণ তখন সংগঠন আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হতো।

গত কমিটিরই উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার বৈদ্য বলছিলেন, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলে ফল অন্যরকম হতে পারত। আশাকরি নেতৃবৃন্দও বিষয়টি ফিল করবেন। তারপরেও আমি বলব মনে প্রাণে সকলে কাজ করেছে। না হয় অধিকাংশ পরে আমরা জয়ী হতাম না।

এজিএস পদে জয়ী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেইন বলছিলেন, আমরা অধিকাংশ পদে জয়ী হয়েছি। দুটো পদে আমরা জয়ী হতে পারিনি কারণ প্রতিপক্ষ মৌলবাদী শক্তি মিথ্যা প্রপাগা-া চালিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেছে। একই সঙ্গে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে মৌলবাদী অপশক্তি তৎপরতা চালিয়েছে। এর ফলে আমরা দুটি পদে জয়ী হতে না পারায় কিছুটা কোণঠাসা অবস্থানে পরেছি।

তবে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন মঙ্গলবার নূরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, নূর কোন সংগঠনের নয়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হিসেবেই দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই যিনি ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন তাকে মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। নূরকে জড়িয়ে ধরে শোভন বলেন, নূরকে আমি আমার ছোট ভাই বলে মনে করি। সে নিজের যোগ্যতায় ও সাংগঠনিক নৈপূণ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে এই ফল মেনে নিতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে আমি অভিনন্দন জানাই। তাকে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করব এই অঙ্গীকার করছি।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.011660099029541