ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ছাত্রলীগের গুটি কয়েক নেতা আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে, যারা এ সংগঠনকে বিতর্কিত করতে চায় তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে। তাদের সেই ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ ছাত্রলীগে হবে না।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ির ছাতির বাজারে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়লের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
জয় বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও শুনতে হচ্ছে ছাত্রলীগ নাকি কমিটি বাণিজ্য করে। এ ধরনের যারা মিথ্যা অপবাদ যারা দেয়, তাদের আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই পদ বাণিজ্য করে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে, যারা তাদের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব আনে।ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন এখন পর্যন্ত তাঁর গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রলীগ বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনে ভুমিকা রেখেছে। আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গৌরবের জায়গায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রশংসার জায়গায়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যতদিন থাকবে, ততদিন এদেশের মানুষ ছাত্রলীগকে স্মরণ করবে।
ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিল জাতির পিতা কিন্তু অপরপক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে এখন পর্যন্ত কোন গঠণতন্ত্র তৈরি করতে পারেনি। যেই ছাত্র সংগঠনে কোন ছাত্রত্বর বালাই নেই, যে সংগঠন এখন পর্যন্ত অছাত্রদের নিয়ে নেতৃত্ব দেয়া হয়, যেই সংগঠনে বাবাদের দ্বারা নেতৃত্ব দেয়া হয়, সেই সংগঠনের কেউ যদি কোন ষড়যন্ত্র করে সেই ষড়যন্ত্র ছাত্রলীগ মেনে নিবো না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে বহিরাগতদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে ছাত্রদল। আজকে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই ছাত্রদল কোন অন্যায় করার চেষ্টা করেলে শিক্ষার্থীরা কিন্ত তার দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে। আজকে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আমরা বলতে চাই, ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের স্বার্থের সংগঠন। ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের দাবি আদায়ে কাজ করে যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের গুন্ডারা যদি গুন্ডামি করতে আসে তাদেরকে শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই মেনে নেবে না।