বুয়েটে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্র রাজনীতি। দাবি উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনে নিষিদ্ধের। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক তিন উপাচার্য বলছেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাই সমাধান নয়। বন্ধ করতে হবে ক্যাডারভিত্তিক, দলকানা পেশিশক্তির রাজনীতি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানা যায়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জয়শ্রী ভাদুড়ী।
সাক্ষাৎকারে আর জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলকে টর্চার সেলে রূপান্তর করা রাজনীতির অংশ নয়। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি কেমন হবে সেই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। ছাত্র সংসদ সচল থাকলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য থাকত না। সুষ্ঠু ভোটে ছাত্র সংসদের কার্যকারিতায় রাজনীতি শোষণমুক্ত হবে।
আলাপচারিতায় তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা রাজনীতি করবে কল্যাণের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় হবে মুক্ত বুদ্ধি চর্চার জায়গা। রাজনৈতিক বলয় গড়ে তুলে সুবিধাভোগের জায়গা এটা নয়। শিক্ষাঙ্গনে এই অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতিকে পরিশীলিত করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। বুয়েট এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার যৌক্তিকতা মনে করলে তারা নিতেই পারে। শিক্ষাঙ্গনে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ছাত্র সংসদ জরুরি। সুষ্ঠু ভোটের মধ্য দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচিত হলে বৈষম্যের রাজনীতি বন্ধ হবে।