দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৭ অপহরনকারীকে আটক করেছে।
এসময় অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীটিকেও উদ্ধার করেছে। আটককৃতরা হলো বিরামপুর উপজেলার বিজুল গ্রামের সাইদ হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন(২৭), ও নুরনবী (২২),মির্জাপুর গ্রামের শাহাজাহনের ছেলে রায়হান কবীর(২৭),রংপুরের শালবন (মিস্ত্রিপাড়া) মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে রাসেল (২৭) ও মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া(৩০), মিঠাপুকুর উপজেলার শুকরের হাট মাহমুদেরপাড়ার মৃত বাবুলের ছেলে ছোটন(২৬) ও রংপুরের কামারপাড়ার মৃত ওহাবের ছেলে কৌসিক মিয়া(২৮)।
থানা সুত্রে জানা গেছে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বিজুল গ্রামের আসন্ন দাখিল পরীক্ষার্থী(১৬) তার বাড়ী থেকে বিরামপুর এ কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে বিরামপুর উপজেলার বিজুল হাইস্কুল সংলগ্ন রাস্তা থেকে অপহরকারীরা তাকে জোর পুর্বক মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে ভাদুরিয়া অভিমুখে রওনা হয়।
এসময় স্থানীয়রা টের পেয়ে ছাত্রীর বাবাকে মোবাইল ফোনে খবর দেয়। পরে তার বাবা নবাবগঞ্জ থানা সহ তার পরিচিত ও আত্মীয় স্বজনদের মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে লোকজন বিভিন্ন রাস্তায় জড়ো হয়। অপহরনকারীরা বিষয়ে টের পেয়ে বিকল্প রাস্তা হিসাবে নবাবগঞ্জ উপজেলার পরানদীঘি গ্রামের সামনে পৌছিলে স্থানীয় জনসাধারন মাইক্রোবাসটিকে আটক করে এবং অপরনকারীদের গণধোলাই দেয়।
পরে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষুব্দ জনতার কবল থেকে অপহরণকারীদেরকে উদ্ধার করে থানায় আনে। এসময় অপহরণ কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও পুলিশ আটক করে।
নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক মোঃ ইসমাইল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে