নিউ ভিশন বাসে কলেজছাত্রীকে হেনস্থার চেষ্টাকারী সেই বাস চালক মো. দ্বীন ইসলাম (৩৭) ও হেলপার মো. বিল্লাল হাওলাদারকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ।
ডিবির পশ্চিম বিভাগ পুলিশ জানায়, ড্রাইভার বললো `গেট লাগায় দে’ বাস থেকে লাফিয়ে বাঁচলেন ইডেনের ছাত্রী’ এমন একটি খবর অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। পরে বিষয়টি মাথায় নিয়ে অনুসন্ধানে নামে ডিবি (পশ্চিম) বিভাগের একটি দল। ওই ছাত্রীর ফেসবুক পেজের গোপনীয়তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকায় এবং স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় অসংখ্য মেসেজ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি তার ইনবক্স চেক করা থেকে বিরত থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। এরপর নিউ ভিশন পরিবহনের বাসের ড্রাইভার ও হেলপারদের ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে অভিযুক্ত বাস ড্রাইভার ও হেলপারকে শনাক্ত করা হয়। বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুজনকে।
পরে গ্রেপ্তাররের বিষয়টি জানতে পেরে পরবর্তীতে সুষ্ঠ বিচার পেয়েছেন মর্মে ওই কলেজছাত্রী তার ফেসবুক পেজে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। যাতে বলা হয়েছে হুম আমি পেরেছি।গত ১৭ মার্চ বাসে বাড়ি ফেরার পথে বাসে নিপীড়নের শিকার হন ইডেন কলেজের এই ছাত্রী। সেই ছাত্রী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিপীড়নের কথা প্রকাশ করেন। ওই ছাত্রী তার ফেসবুক পেজে লেখেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট থেকে মতিঝিল-মিরপুর চিড়িয়াখানা রুটে চলাচলকারী ‘নিউ ভিশন’ পরিবহনের একটি বাসে উঠেছিলেন।
বাসে যাত্রী ছিল না বললেই চলে। অস্বস্তি বোধ করছিলেন ওই ছাত্রী। তিনি নেমে যেতে চাইলে বাসচালকের সহকারী (হেলপার) ‘আপা ভয় পাইছে’ বলে রসিকতা করতে শুরু করেন। বাসের দরজাও তিনি রোধ করে দাঁড়ান এবং বাসচালক তাকে দরজা আটকে দিতে বলেন। এসময় ওই দুজনের মতো বাসের দু-চারজন যাত্রীও হাসাহাসি করছিলেন। একপর্যায়ে খামারবাড়ি পৌঁছে বাসটি গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বলে মনে করেন ইডেনের ওই ছাত্রী। তিনি বাসচালকের সহকারীকে ধাক্কা দিয়ে নেমে যান।