পাবনা শহীদ এম মনসুর আলী কলেজে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। শনিবার (২৯ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পিস্তল বের করে অধ্যক্ষকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয়।
ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের সামনে বিক্ষোভ করে সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করে।
শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ জানান, কলেজের ছাত্রীদের কমন রুমের সামনে কতিপয় বখাটেরা শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করছিল। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে তাদের চলে যেতে বাধ্য করি। এই ঘটনার আধাঘণ্টা পর ওই বখাটেরা পার্শ্ববর্তী গোলাপবাগান এলাকার আকাশ, হাসান, পিন্টুসহ দলবল নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে ভাঙচুর চালায়।
আমি বাধা দিতে গেলে তারা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেয়। এ সময় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ছুটাছুটি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। এই ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
কলেজের সিনিয়র শিক্ষক গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, এই ঘটনার পর আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার দাবি করি।
অপর শিক্ষক মতমাইন্না মতিন বলেন, এই কলেজের জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ছেলে মেয়েরা পড়তে আসে। স্থানীয় বখাটেরা মাঝে মাঝেই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। আমরা এর প্রতিকার চাই।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের নামে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।