মুক্তাগাছায় দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করার পর মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) এক স্কুলছাত্রীর ফাঁদে পড়ে শিক্ষার্থীদের গণপিটুনির শিকার হয়েছে ইমরান নামে এক রিকশাওয়ালা যুবক। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে তিন মাসের জেল দেন। সে মুক্তাগাছার মুজাটির চরপাড়া গ্রামের মন্নেছ আলীর ছেলে।
মুক্তাগাছা শহরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই শিক্ষার্থীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল মুজাটি চরপাড়া এলাকার দুই সন্তানের জনক রিকশাচালক ইমরান হোসেন।
তার অত্যাচারে অসহ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তার স্কুলের এক শিক্ষককে জানায়। পরে ওই শিক্ষকের পরামর্শে ছাত্রীরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই যুবককে ভালোবাসার লোভ দেখিয়ে স্কুলের সামনে নিয়ে আসে। এরপর ওতপেতে থাকা স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়।
পরে আর্মড পুলিশের ক্রাইম শাখার পরিদর্শক কাইয়ুমের নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা তাকে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও কার্যালয়ে হাজির করেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মুক্তাগাছার ইউএনও সুবর্ণা সরকার ওই যুবককে তিন মাসের জেল দেন।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বছির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।