শরীয়তপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে পিটিয়ে অজ্ঞান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সুপারের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার সদর উপজেলার মাহমুদপুর খাঁ পাড়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী তাসলিমা বেগমকে বুধবার সকালে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিত্সক দেবাশীষ সাহা বলেন, ‘আহত তাসলিমাকে হাসপাতালে ভর্তির সময় তার কপালে একটি ক্ষত চিহ্ন ছিল। চিকিৎসার পর তাসলিমার জ্ঞান ফিরে এলে সে জানায় মাদ্রাসা সুপার তাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।মাদ্রাসা সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বেয়াদবি করায় অন্য একজন পেটাতে গিয়ে অসাবধানতা বশত তসলিমার মাথায় আঘাত লাগলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
তাসলিমার সহপাঠী সুরভী ও লিমা আক্তার জানান, গত ১০ দিন আগে ওই সুপার তাদের ক্লাসের পড়া দিয়ে ছুটিতে চলে যান। ছুটি থেকে ফিরে ক্লাসে ঢুকে তাসলিমার কাছে পড়া জানতে চান। পড়া দিতে না পারায় হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সুপার তসলিমাকে পেটাতে থাকে। মাথায় আঘাত লাগার সাথে সাথে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এরপর আমরা চিত্কার দিলে এলাকার লোকজন এসে তাসলিমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তাসলিমার বাবা শাহ আলম খান বলেন, ‘মাদ্রাসার সুপার আমার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। পরে জ্ঞান না ফিরলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
প্রায় ৬ ঘণ্টা চিকিত্সার পর তাসলিমার জ্ঞান ফিরে আসে।