পরীক্ষার খাতায় নম্বর পাওয়ায় এক শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে পিটিয়ে লুনা ইসরাত (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর (এসএসসি পরীক্ষার্থী) ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষক ক্লাসের আরও ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থীকেও পিটিয়ে জখম করেছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানায়। গুরুতর অবস্থায় লুনাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, লুনা ইসরাত ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এ বছর তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা। শিক্ষার্থীকে পেটানো শিক্ষকের নাম মুক্তা রানী রবিদাস (৪৫)। তিনি বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহত শিক্ষার্থী লুনা ইসরাত অভিযোগ করেন, ক্লাসের সাপ্তাহিক পরীক্ষার খাতায় ১০ নম্বরের মধ্যে সে ৮ নম্বর পায়। তার মত আরও অনেকেই একইভাবে নম্বর পাওয়ায় তাদের উপর ক্ষিপ্ত শিক্ষিকা মুক্তা রানী। আজ মুক্তা রানী রবিদাস বাংলা ক্লাসে এসেই বিভিন্ন অজুহাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদের বেদম পেটাতে থাকেন। আহতদের মধ্যে লুনা ইসরাতের মারপিট বেশি হওয়ায় তার ডান হাতের একটি হার ভেঙ্গে যায় বলে জানায় সে।
এ ব্যাপারে শিক্ষিকা মুক্তা রানী রবি দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী ক্লাসে আমার সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণ (বেয়াদবি) করেছে। তাই আমি তাকে শাসন করি। কিন্তু হাত ভেঙ্গেছে কিনা তা জানতে পারিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনা জানতে পেরে আহত লুনা ইসরাতকে এক হাজার টাকা দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমরান হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. মঞ্জুরুল কাদের বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ও আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।