ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন : আট বছরেও শাস্তি হয়নি ঢাবি অধ্যাপকের - দৈনিকশিক্ষা

ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন : আট বছরেও শাস্তি হয়নি ঢাবি অধ্যাপকের

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

যৌন নিপীড়নের দায়ে তদন্ত কমিটির সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশের পরও অদৃশ্য কারণে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান ওরফে বাহালুলকে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, শুধুমাত্র সরকারদলীয় রাজনীতির কারণে এবং বিভিন্ন সময়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধিতে ব্যবহার করায় তাকে শাস্তির আওতায় আনছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (২১ অক্টোবর) দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আবদুল্লাহ আল জোবায়ের।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, চরম নৈতিক স্খলনের কারণে সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ পাওয়ার পর গত ৮ বছরে দুই উপাচার্যের সময়ে বিভাগীয় কার্যক্রমে যুক্ত না থাকলেও তিনি বিনা পরিশ্রমে নিয়মিত বেতন-ভাতা পেয়েছেন। একই সময়ে মাস্টারদা সূর্যসেন হলে আবাসিক শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানেও তিনি একই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যৌন নিপীড়নের বিষয়টি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ার পরও বাহালুলকে শাস্তির আওতায় না আনায় ক্ষোভ আর অসন্তোষ দেখা গেছে শিক্ষকদের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান ওরফে বাহালুল বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে ‘যৌন নিপীড়ক শিক্ষক’ হিসেবে পরিচিত। এই পরিচিতির পেছনেও রয়েছে ঘটনা। বিভাগেরই এক ছাত্রী বাহালুলের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন ২০১২ সালে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলে। বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে, অভিযুক্ত বাহালুলও নিজেকে বাঁচাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের বিরুদ্ধে মনগড়া একটি অভিযোগ আনেন। দুই পক্ষের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ পর্যালোচনা করে কমিটি বাহালুলের নৈতিক স্খলনের প্রমাণ পায়। এজন্য তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে। কিন্তু গত ৮ বছরেও যৌন নিপীড়নের শাস্তি দেয়া হয়নি বাহালুলকে।

তবে, নৈতিক স্খলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এমরান হুসাইনকে ‘ছাত্রীকে নিপীড়ন’র অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একইভাবে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু বাহালুলকে শাস্তি তো দূরে থাক উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বিভিন্ন সময়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধিতে ব্যবহার করেছে। অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতিতে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই বাহলুল। এজন্য বাহালুলের যৌন নিপীড়নের ‘ফাইল’টি দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে আছে। সম্প্রতি তিনি বিভাগে ঢোকার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট স্ট্যাটিউটের ৪৫(৩)(৪) উপধারায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ৭৩’র আদেশের ৫৬(৩) উপধারায় স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। সেখানে বলা আছে- ‘নৈতিক স্খলন, অদক্ষতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও চাকরিবিধি পরিপন্থী’ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে টার্মিনেট করা যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার জন্য ১৯৭৩ সালের আদেশে যেই কারণগুলো রয়েছে, সেই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেও বাহালুল বছরের পর বছর এখানে চাকরি করে যাচ্ছেন। অপরাধী যেই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের আওতায় কেউ অপরাধী হলে দলীয় বিবেচনায় না এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের অপরাধ কমবে বলে মনে করেন তারা।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের অক্টোবরে মাহমুদুর রহমান ওরফে বাহালুলের বিরুদ্ধে বিভাগের একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ৮ অক্টোবর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে যথাক্রমে তিন মাস এবং ২০১৩ সালের ১ জুন হতে এক বছরের জন্য বিভাগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইবরাহিমকে (বর্তমানে পিএলআর) আহ্বায়ক করে পাঁচজন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ড. মো. আতাউর রহমান মিয়াজী, অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, একেএম খাদেমুল হক ও সুরাইয়া আখতার। তদন্ত কমিটি ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ ৩ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেন। যেখানে বলা হয়েছে- ভুক্তভোগী ছাত্রী ও অভিযুক্ত শিক্ষক বাহালুলের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, ‘বাহালুল শিক্ষকসুলভ গন্ডি অতিক্রম করে ছাত্রীদের সঙ্গে যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে তা নৈতিক স্খলন ছাড়া কিছু নয়। অতএব নৈতিক স্খলনের অপরাধে মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বাহালুলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুকূলে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির বিবেচনার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হলো।’

এদিকে, সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের সময়ে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই সময় শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম এই বাহালুল। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেদিন লাঞ্ছনার শিকার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর। তিনি বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে আমরা জানতে পারি, যৌন নিপীড়নের দায়ে বাহালুলের বিরুদ্ধে তার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা আমলে তো নেয়ইনি উল্টো তাকেই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল। আমি মনে করি, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আর আগের ঘটনায় শাস্তি না দেয়ায় তার পক্ষে পরবর্তীতেও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি তার কঠিন শাস্তি দাবি করছি।

এসব বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি সংক্রান্ত তদন্ত সেলের অন্যতম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন বলেন, কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে তিনি বিভিন্ন উপায়ে উপাচার্যকে খুশি করার চেষ্টা করেন। এজন্য উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে সামনের সারিতে থাকেন। এসব কাজকে তিনি যৌন নিপীড়নের ঘটনা থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে নেন। তিনি বলেন, কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে দলীয় বিবেচনায় না এনে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় না বলেই এ ধরনের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটে বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষেপে যান তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এই রিপোর্ট তুমি পেলে কিভাবে! তুমি কি কমিটির সদস্য ছিলে! বিভাগের মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছে, শিক্ষকরা সেটা তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দিয়েছে। এখন তুমি আমাকে খোঁচাচ্ছো, এটা নিয়ে কোন ঘটনা ঘটল কিনা। তোমার একটা খারাপ উদ্দেশ্য আছে নিশ্চয়ই।

তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যের কাছে তদন্তের রিপোর্ট এবং বিভাগের সিদ্ধান্ত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে যান, তখন তাদের উচিত পদক্ষেপ নেয়া। তারা কেন কোন সিদ্ধান্ত নেননি, তা আমাদের জানানো হয়নি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সরাসরি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইবরাহিম (বর্তমানে পিএলআর) বলেন, তদন্তে আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। অধ্যাপক ইবরাহিম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক শাস্তি চলমান থাকা অবস্থায় সহযোগী অধ্যাপক হওয়ার জন্যও আবেদন করেছে। এছাড়া, সে বিভাগে আসার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে তাদের শক্ত খুঁটি ভাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন তাকে ‘অনিবার্য’ মনে করছে, সেটা জানা নেই।

এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভুঁইয়া বলেন, মাহমুদুর রহমান বাহালুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তবে, এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছিল। এটা হয়তো কারও ‘অ্যাটেনশন’-এ নেই। আমরা বিষয়টি দেখছি।

যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল না থাকায় পার পেয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, এমন শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলেও সাজা হয় কম। শিক্ষক রাজনীতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিচারহীনতার সংস্কৃতিও একটা বড় কারণ। এছাড়া, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল না থাকায় শিক্ষকরা ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন বা হয়রানি করার পরও পার পেয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী কোন সেল নেই। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিককে হাইকোর্ট বেশ কয়েকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন। কিন্তু যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠনে হাইকোর্টের নির্দেশনা মানা হয়নি। অন্যদিকে, যৌন নিপীড়নের মতো ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় খুব বেশি মনোযোগ দেয় না। আমরা যে ঘটনাগুলো শুনি, সেগুলো ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের কাছে যায়। তবে, এটা একটা দীর্ঘসূত্রতা। যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল থাকলে এটা দ্রুত সম্পন্ন হতো। যখন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের সেল থাকে না, তখন নিপীড়নকারী বুঝে যায় যে, নিপীড়ন করে রেহাই পাওয়ার সুযোগ আছে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0065581798553467