কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার দড়িগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে তার নিজ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত সেলিমের বিচার দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার দড়িগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, গত ৯ জুন সকালে ওই ছাত্রী সেলিম মাস্টারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়ার কক্ষে আর কেউ না থাকায় লম্পট শিক্ষক ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। এলাকাবাসী জানান, এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এবং প্রতিবারই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মাদবরদের ম্যানেজ করে এবং তাদের সহযোগিতায় সেসব যৌন নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে সে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার মহুর উদ্দিন জানান, সেলিম ঘটনার কথা স্বীকার করে ছাত্রীর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। এ ছাড়া এক মাসের মধ্যে আবেদন করে এ বিদ্যালয় থেকে অন্য কোনো বিদ্যালয়ে চলে যাবে এবং আর কোনোদিন প্রাইভেট পড়াবে না বলে ওয়াদা করেছে। তবে কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক জানান, এটা ফৌজদারি অপরাধ। তাকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. আবদুল হাই তালুকদার বলেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।