গোপালগঞ্জে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া সেই শিক্ষক মিলন হোসেনকে বিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রতন মিত্র বলেন, কোটালীপাড়া এসএন ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক মিলন হোসেন সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। সর্বশেষ ২৪ জুন এক ছাত্রীকে তিনি অনৈতিক প্রস্তাব দিলে সে অভিভাবকদের জানায়। অভিভাবক বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আতিকুজ্জামান বাদলকে জানালে তিনি ২৫ জুন জরুরি সভা করে মিলন হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। এ ঘটনার তদন্তে জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি করে তাদের ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সে কমিটি গতকাল প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আতিকুজ্জামান বাদল বলেন, মেধাবী শিক্ষক হওয়ায় তাকে কয়েকবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সংশোধন হয়নি।
তবে মিলন হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষক হিসেবে এলাকায় আমার সুনাম রয়েছে। তাই প্রতিপক্ষ আমাকে বিদ্যালয় থেকে অপসারণের অপচেষ্টা করছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ আমাদের কাছে যে সুপারিশ পাঠাবে, আমরা তা বাস্তবায়ন করব।