পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে রিয়াজ বৈদ্য (৩০) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে। পরে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ওই পরীক্ষার্থীকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এতে পরীক্ষা দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে ওই মাদরাসাছাত্রীর।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রী হানিফ বৈদ্যর বখাটে পুত্র রিয়াজ বৈদ্য সম্প্রতি একই এলাকার সৌদি প্রবাসীর মেয়ে দাখিল পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় বখাটে রিয়াজ ধর্ষণের আপত্তিকর ভিডিও নিজের মোবাইলে ধারণ করে রাখে।
সম্প্রতি ওই আপত্তিকর ভিডিওটি বিভিন্ন মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ওই দাখিল পরীক্ষার্থী পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে এই ছাত্রী তার নিজের বাড়িতে থাকছে না বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় একটি মহল বিষয়টি ম্যানেজ করার জন্য ওই বখাটের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নেয়। কিন্তু ততোদিনে ওই আপত্তিকর ভিডিও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ভাইরাল হলে বখাটে রিয়াজ গা ঢাকা দেয়।
স্থানীয় চৌকিদার নিজাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, রিয়াজ বৈদ্য একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য কবির হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এর আগেও বখাটে রিয়াজ দুটি বিয়ে করে তালাক দেয়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি ও তার পরিবারের কাউকেই না পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই বখাটে পলাতক রয়েছে।