সিলেটে প্রেমিকাকে বিয়ে করার কথা বলে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক করে গোপন স্থিরচিত্র ধারণ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগে তাওহিদুর রহমান এহিয়া (২৫) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সিলেট নগরের শেখঘাট এলাকার বাসিন্দা।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নগরের সুরমা মার্কেটের পাশ থেকে এএসআই ইসমাইলের নেতৃত্বে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা। তিনি জানান, পর্নোগ্রাফি আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সে ছাত্রলীগ নেতা বলে আমার কাছে দাবি জানায়। আমি তাকে বলেছি আইন সবার জন্য সমান। আইনের বাহিরে কেউ নয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস পূর্বে গ্রেফতার তাওহিদুর রহমান এহিয়ার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর (২২) সঙ্গে। পরিচয়ের হওয়ার পর দুজনই প্রেমে আবদ্ধ হন। এর প্রেক্ষিতে প্রেমিকাকে বিয়ে করার কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক করে এহিয়া।
এরমধ্যে সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের স্থিরচিত্র ও ছবি গোপনে তুলে ফেলে এহিয়া। পরে ওই যুবক বিয়ে না করায় তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এরপর থেকে ভিকটিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার সাথে সম্পর্ক রাখার চাপ প্রয়োগ করে। অন্যথায় গোপনে ধারণকৃত এসব ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
এ ঘটনার পর সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহে বসবাসরত ওই ছাত্রী গত ১৭ জুলাই এসব ভিডিও ও ছবির সত্যতা যাচাই করেতে এহিয়ার সাথে দেখা করেন। তখন তিনি এহিয়ার ফোনে ভিডিও ও ছবি দেখে ডিলিট করে দেয়ার অনুরোধ করলেও এহিয়া তাতে কর্ণপাত করেননি। বরং তাকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন এবং তার পরিচিত মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করিয়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী ছাত্রী নিজের ও পরিবারের সম্মানের কথা বিবেচনা করে সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে নগরের সুরমা মার্কেট এলাকা থেকে মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
শনিবার তাকে কোর্টে চালান দেয়া হবে বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা।